পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (শনিবার) খুব ভোরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাখণ্ডের কাঠবাংলার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। মাটি ও ভারী পাথরের টুকরো গড়িয়ে পড়ে তিনটি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক নারীসহ সাত জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় এক মহিলাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে দুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের পাড়ুইতে অবিরাম বৃষ্টিতে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। দেহরাদুনের কাছাকাছি কিষাণপুর ও পিথোরাগড়ে ধস নেমে মৃত্যু হয় আরও তিন জনের।
প্রবল বৃষ্টিতে হরিদ্বারের গঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বিপজ্জনক নদীগুলোর পাশ্ববর্তী সব গ্রামে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। ওই সব গ্রামে ভূমিধসে ভেসে গেছে অসংখ্য কাঁচাবাড়ি। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
উত্তরাখণ্ডে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এদিকে, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশে মারা গেছেন ৪ জন। দু’টি রাজ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি।
অন্যদিকে, শনিবার সকাল থেকে উত্তরপ্রদেশের রাপ্তি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে সেখানে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
এছাড়া, বিহারেও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোশি, গণ্ডক, কমলা বালান ও বাগমতী নদীর পানি বিপদসীমার অনেকটা উপর দিয়েই বইছে। গোপালগঞ্জ, বাঘা, মধুবনী, সীতামারি, সুপল, সহর্ষ ইত্যাদি গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মুষলধারে বৃষ্টিপাত আরও ৪৮ ঘণ্টা ধরে হতে পারে। প্রবল বৃষ্টিপাতে গঙ্গা নদীসহ রাজ্যের সব নদীতে পানির প্রবাহ বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী সংলগ্ন সব গ্রামে জারি করা হয়েছে বন্যা সতর্কতা। সূত্র:রেডিও তেহরান