তুরস্কে বাধ্যতামূলক ‘ইসলাম ক্লাস’ মানবাধিকার পরিপন্থি

অনলাইন  ডেস্ক:- তুরস্কের সব মুসলমান ছাত্রছাত্রীর ধর্মক্লাসে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক, তারা শিয়া, সুন্নি, আলোওয়াইট – যে সম্প্রদায়ের অনুসারীই হোক না কেন৷ স্ট্রাসবুর্গের বিচারকরা একে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে রায় দিয়েছে৷স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তুরস্কের স্কুলগুলিতে ধর্মক্লাসের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় বিশ্বাসে সম্মান দেখানো হয় না সেখানে৷ স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ইউরোপীয় কনভেনশন অনুযায়ী চিন্তার অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে৷

স্কুলগুলিতে সাধারণত সুন্নি সম্প্রদায়ের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ধর্মক্লাস করানো হয়৷ এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তুরস্কের আলোওয়াইট সম্প্রদায়ের কয়েকজন৷ ২০০৫ সালে তুরস্ক সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল আলোওয়াইটদের দর্শন ও সংস্কৃতি পাঠ্যসূচিতে গ্রহণ করতে৷

সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারীরা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে মামলা দায়ের করে৷ অভিযোগে বলা হয়, সুন্নি প্রভাবিত ইসলামক্লাস তাদের সন্তানদের মূল্যবোধের সংকটে ফেলছে৷ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয় এবং নির্দেশ দেয়, ছাত্রছাত্রীরা চাইলে ধর্ম ও নীতিশাস্ত্র ক্লাস করা থেকে অব্যহতি পাবে এবং এ জন্য তাদের মা-বাবার ধর্মবিশ্বাস প্রকাশ করার প্রয়োজন হবে না৷

রাষ্ট্রের ধর্মসংক্রান্ত নীতিমালার ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা উচিত৷ বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু ইহুদি ও খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মক্লাসে অংশ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক নয়৷

তুরস্ক তিন মাসের মধ্যে স্ট্রাসবুর্গের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে৷ এই আপিল প্রত্যাখ্যাত হলে আদালতের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷সূত্র:-ডিডাব্লিউ

Exit mobile version