আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে মামলায় ৪ বছরের জেল হল ভারতের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার। একই সাথে ১০০ কোটি টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত আজ শনিবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি জন মাইকেল কুনহা।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটার ভবানী সিং আগেই বলেছিলেন, আজই সাজা ঘোষণা করবে আদালত। এর আগে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের বিচারপতি জয়ললিতা ছাড়াও শশীকলা নটরাজন, ইলাভারাসি এবং সুধাকরন কেও দোষী সাব্যস্থ করে। জানা গেছে, জয়ললিতার এই সাজা ঘোষণার ফলে তাঁর বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে যাবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদ ও ছাড়তে হবে তাঁকে। এদিকে চেন্নাইতে ডিএমকে পার্টির কার্যালয় এবং দলের বরিষ্ঠ নেতাদের বাড়ির সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে। দলের কার্যালয় ‘আন্না অরিয়ালয়ম’ এবং তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে প্রেসিডেন্ট এম করুণানিধির বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় জয়ললিতার ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ছিল তিন কোটি টাকা। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি এক টাকা করে বেতন নিতেন বলে তাঁর সমর্থকরা দাবি করে থাকেন। পাঁচ বছর ধরে রাজ্যপাট চালানোর পর জয়ললিতা ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৬.৬ কোটি টাকা।
এর পরেই ১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে মামলা করে ডিএমকে পার্টি। অভিযুক্ত হন জয়ললিতার সঙ্গী শশীকলা, পালিত পুত্র ভি এন সুধাকরণ ও ইলাভারাসিও। জয়ললিতার মঙ্গল কামনায় শুক্রবার পুজোর আয়োজন করেন তাঁর সমর্থকরা। যদিও আদালতের রায়ে শাস্তির হাত এড়াতে পারেননি জয়ললিতা।
বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত রায় ঘোষণার পরেই এআইএডিএমকে সমর্থকরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখায় এবং হিংসাত্মক কাজে জড়িয়ে পড়ে বলে খবর পাওয়া গেছে।প্রতিবেদনটি:রেডিও তেহরান, রায় ঘোষণা উপলক্ষে যাতে কোনো অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য রাজ্য জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।