মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের এ বৈঠক কূটনৈতিক তৎপরতার ধারবাহিক কর্মসূচি। এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আজকের বৈঠকে সাভার ট্র্যাজেডি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ ঘটনায় আমেরিকা সরকার সমবেদনা জানিয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ধরণের সংঘাত চায় না। সংঘাত গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চা, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তায় বিশ্বাস করে আমেরিকা। তিনি বলেন, সংকট সমাধানে সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেই বসতে হবে। এতে বাইরের হস্তক্ষেপ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে মজীনা বলেন, এ দেশের সমস্যার সমাধান এ দেশের রাজনীতিকদেরই করতে হবে। সে পরিবেশ তৈরি করে সবাইকে একমত হয়ে সংলাপে বসতে হবে। খালেদা জিয়ার বরাতে ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে শান্তি বজায় রাখতে হলে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি তাদের করতে হবে। এটা তাদেরই দায়িত্ব। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের বিকল্প নেই। সরকারকেই এটা করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আমরা কখনো বলিনি যে, সরকার আলোচনায় ডাকলে যাবো না। কিন্তু সে আলোচনা যাতে নাটক না হয়। পরিকল্পনা যদি এমন হয় যে, সবাইকে জেলে পুরে আলোচনা করবে, তবে সে সংলাপ চলতে পারে না। আগে সরকারকে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।