১. আবেগপ্রবণ মানুষরা নিজস্ব মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন। তাই অন্যের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে কি নেই তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন না তারা।
২. এ ধরনের মানুষদের মধ্যে প্রাণোচ্ছলতা থাকে। তারা পৃথিবীটাকে বদলে দিতে প্রস্তুত। তারা অন্যান্য হিংসুটে, নিষ্ঠুর মানুষের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য স্পষ্ট করে তোলেন।
৩. মানসিকভাবে সম্পদশালী এসব মানুষ অন্যের সমালোচনায় সময় নষ্ট করেন না। এটা থেকে দূরে থাকেন তারা। কারণ, এগুলো মানুষকে পিছিয়ে দেয়।
৪. অন্যের কারণে নিজের বিশ্বাস এবং আদর্শ থেকে কখনো সরে আসেন না তারা।
৫. নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে তাদের। চাহিদা মেটাতে পিছ পা হন না তারা। নিজেদের লক্ষ্য অনুযায়ী পরিচালিত হতে থাকেন এ মানুষরা।
৬. তাদের তৃপ্তি, সাফল্য এবং সুখ আসে কঠোর পরিশ্রম থেকে। বহু ঝড়-ঝাপ্টা জয় করে এগিয়ে যান তারা।
৭. অনেক সময় তারা দুর্ভেদ্য চরিত্রের মানুষ হয়ে ওঠেন। তবে যারা মানুষকে ভালো কাজে নিরুৎসাহিত করেন, তাদের সামনে নিজেকে খোলসে ভরে ফেলেন তারা।
৮. নিজের চরিত্রকে সবার সামনে উন্মুক্ত করে দিতেও ইতস্তত নেই তাদের। কারণ সবার সামনে তুলে ধরার মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাদের।
৯. সকালে ঘুম থেকে উঠতে তাদের অ্যালার্মের ওপর নির্ভর করতে হয় না। মূলত ভেতর থেকে তাদের যেকোনো কাজের তাগাদা কাজ করে। এই বিষয়টি তাদের যাবতীয় কাজে সফল করে তোলে।
১০. স্বাস্থ্য সচেতনতা তাদের বড় একটি বৈশিষ্ট্য। তারা বোঝেন যে, পর্যাপ্ত জ্বালানি দিতে না পারলে দেহটা চলবে না।
১১. যা করতে মন চায় না, তা করে সময় নষ্ট করেন না তারা। নিজের পছন্দের যেকোনো কাজে তাদের মনোযোগ ঢালেন।
১২. তারা বোঝেন যে, জীবনটাকে পরিষ্কার এবং ঝকঝকে রাখতে অনেক কিছুর প্রতি নেতিবাচক হয়ে উঠতে হবে। এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকেন তারা। সীমাবদ্ধতা রক্ষা করে চলেন তারা।
১৩. দারুণ সহানুভূতিশীল আবেগপ্রবণ মানুষরা। তারা অন্যের সত্যিকার বিপদে উপকার করতে আগ্রহী থাকেন। কিছু পাওয়ার বিনিময়ে দান করেন না তারা। তবে জানেন, নিঃশর্ত উপকারে কোনো না কোনভাবে ১০ গুন ফেরত আসে।
১৪. তারা সব সময় স্বাধীন এবং নিজের চরিত্রকে আলিঙ্গন করতে দ্বিধা করেন না। নিজের সম্পর্কে সচেতন তারা। নিজের প্রতি সব সময় সৎ থাকেন তারা।
১৫. মনের সঙ্গে সব সময় বোঝাপড়া থাকে তাদের। চিন্তা-চেতনার ক্ষমতা সম্পর্কে তারা সন্দিহান নন। চিন্তা থেকে নতুন কোনো উপলব্ধি অর্জনে তারা এগিয়ে। আবার ক্ষতিকর আবেগে লাগাম পড়ানোর পদ্ধতিও জানেন তারা। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার