জি নিউজ ঃ হেফজতে ইসলাম আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রোববার ডাকা হরতালটি স্থগিত করেছে। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় সংগঠনের প্রধান শাহ আহমদ শফি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের যুগ্ম আহŸায়ক জাফরউল্লাহ খান। গত রোববার ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি শেষে তাদের মতিঝিলে অবস্থান কর্মসূচি সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তুলে দেয় পুলিশ এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপরে সংগঠনটি এ হরতালের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা আশরাফ আলি নিজামপুরীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কেন তারা হরতাল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন সরকার এখন হার্ড লাইনে আছে এই হার্ড লাইনের ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তাকে আরো প্রশ্ন করা হলো, তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সরকারের সাথে গোপন কোন আপস হয়েছে কিনা? তিনি এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ ধরণের কোন কথাই সরকারের সাথে হয়নি। তাকে আরো প্রশ্ন করা হলো জামায়তের হরতাল ডাকার সাথে তাদের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, জামায়াতের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
বাসÍবতা বিচার করলে দেখা যায় হেফাজতের ভেতরে জামাত-শিবিরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডারদের অনুপ্রবেশ ও সহিংসতা ভিন্ন ইংগিত বহর করে। অবরোধের নামে সরকার পতনের যে নীল নকশা হেফাজতকে দিয়ে বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা করেছিল বিএনপি ও জামায়াত, তাতে মোটা দাগেই চোখে পড়ে এরা সবই এক অপরের পরিপূরক। হেফাজত যতোই বলুক তাদের সঙ্গে জামাতের সংশ্লিষ্টতা নেই তা এখন পাগলেও বিশ্বাস করে না কারণ হেফাজতের আমির বগুড়া উড়ে গেছে জামাত নেতা মীর কাসিমের হেলিকপ্টার দিয়ে। জামাতের টাকা ও হেফাজতের ভালোমানুষির চেহারার আড়ালেই রাজনৈতিক খেলা চলছে। আর গোটা প্রক্রিয়া মদদ জোগাচ্ছে বিএনপি।
আর এদিকে সাধারণ জনগণকে বোকা বানানোর জন্য গোপনে আতাত করে রোববারের হরতাল স্থগিত করেছে হেফাজত আর অপরদিকে হরতাল ডাক দিয়েছে জামায়াত। জনগণকে এত বোকা ভাবার কোন কারণ নেই, সচেতন জনগণ এখন সব ধরণের কূটকৌশলই বোঝে যার জবাব ইতিমধ্যেই পেয়েও গেছে ধর্মের মুখোশ পরা অর্ধামিকেরা।
জহিরুল ইসলাম রেমন/ ডেপুটি এডিটর/ জি নিউজ