সরেজমিনে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনষ্ট্রাক্টর মনির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১১টি ব্যাচের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ফান্ডের লাখ লাখ টাকা কর্তন করে আত্মসাৎ করেন। উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষকরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বিতীয়বারের মতো তদন্ত কমিটি গঠন করে। নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অডিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান গতকাল শনিবার রাজাপুরে আসেন। এসময় ওই কর্মকর্তা সকল শিক্ষকদের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে কথা বলেন এবং প্রত্যেকের নিকট থেকে আলাদাভাবে লিখিত অভিযোগ নেন। এসময় সকল শিক্ষকরা ইনট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি বই চুরি করে বিক্রিসহ ডজনখানেক অভিযোগ তুলে ধরেন।
এ ব্যাপারে সহকারি ইনষ্ট্রাক্টর মনির হোসেন অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তদন্তের জন্য শিক্ষকদের সকল অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। তাদের নিকট থেকে লিখিত আকারে স্ব স্ব^ অভিযোগও আমি নিয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। আমি এ বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট উপরে পেশ করব।’