ঢাকাসহ সারাদেশে হরতাল পালিত , কফিন নিয়ে যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

অনলাইন ডেস্কঃ- রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা আধা বেলা হরতাল পালিত হয়েছে। লেখক-প্রকাশক ও ব্লগারদের হত্যা এবং তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে। আজ মঙ্গলবার সকালে হরতালের সমর্থনে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, “এই হরতাল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য। আজ সারাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ হরতাল পালন করছে, যা প্রমাণ করছে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।”

 হরতালে যান চলাচল বন্ধ ছিল শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন, শাহবাগ থেকে কাটাবন, শাহবাগ থেকে টিএসসি মোড় আর শাহবাগ থেকে রূপসীবাংলা হোটেল মোড় পর্যন্ত। এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য সড়কে সকাল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কগুলোয় ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও রিকশা চলাচল করছে। 

 হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া সড়কগুলোতে পুলিশ, র‌্যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) টহল দিতে দেখা গেছে।

এদিকে, হরতালের সমর্থনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় গণজাগরণ মঞ্চের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী হরতালের শুরুতে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা (প্রান্তিক) গেইটের সামনে অবস্থান নিলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 অর্ধদিবস হরতাল শেষের আগ মূহূর্তে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী ৬ ব্লগার হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ৬টি প্রতীকী কফিন নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকরা।একই দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে গণজাগরণ মঞ্চ। 

উল্লেখঃজাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা, কবি তারেক রহিম, শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল ও লেখক-গবেষক রণদীপম বসুকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এবং তাদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সারাদেশে অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও  সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এ হরতালে সংহতি জানিয়েছে।

Exit mobile version