বিষাক্ত ¯েপ্র মিশ্রিত আমে সয়লাব – প্রশাসন নিরব

poyojon 2সাতক্ষীরা ঃ আমরা প্রতিদিন কি খাচ্ছি ? বাজার থেকে টাকা দিয়ে নিরব ঘাতক বিষ কিনে পরিবারের সবাই মিলে খাচ্ছি। বৈশাখ শেষে জ্যৈষ্ঠ মাসের পাকা আম আর জ্যৈষ্ঠ মাসের ফলের কথা কম বেশী আমাদের সকলের জানা, কিন্তু চিš—ার বিষয় এখন গাছ থেকে পাড়ার পরে ফল আর ফল থাকে না তা হয়ে যায় নিরব ঘাতক বিষ। বর্তমানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাত¶ীরা সুলতানপুর বড়বাজার সহ বিভিন্ন ছোট বড় বাজার এমনকি আমের বাগানেই আম পাড়ার পরে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত ¯েপ্র। হরহামেশায় জনসাধারনের সামনেই এ ¯েপ্র মেশানো হয় আমে। বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার সরোজমিনে সাত¶ীরা সুলতানপুর বড়বাজারের একাধিক আমের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে সারা দিন তারা বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আম ক্রয় করে ও নিজেদের কেনা বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে বাজারের আড়তে নিয়ে আসে অথবা কোন গোপনীয় গোডাউনে নিয়ে যায় পরে সন্ধায় সেই সব আমে বিষাক্ত ¯েপ্র করে বাতাসে শুকিয়ে কার্টুনে ভর্তি করে ট্রাকে তুলে রাজধানী ঢাকায় পাঠায়। এছাড়াও বর্তমানে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারের কয়েক শত অসাধু ব্যাবসায়ী বেশী লাভের আশায় সাত¶ীরায় অবস্থান করছে আধা পক্ত, কাচা আম কিনে মানবদেহে ¶তিকর ঔষধ আমে লাগিয়ে তারা সন্ধার পরে ঢাকায় পাঠায়। এ সব দেখেও সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই যেখানে খোদ পুলিশের নামে উঠছে মোটা অংকের টাকা সেখানে কোন রকম বাধা দিলে তো আইন উল্টে চড়া হতে পারে এমন দাবী করেন বৃহষ্পতিবার দুপুরে বড় বাজারে অবস্থান রত ছোট খাটো ব্যাবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এদিকে আমে ¯েপ্র লাগানোর ঘটনা জানতে পেরে গত কয়েক দিন আগে সাত¶ীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি টিম সুলতানপুর বড় বাজারে যায় কিন্তু প্রশাসনের আসার কথা আগে থেকে জানতে পেরে অসাধু ব্যাবসায়ীরা কেউ কেউ আড়ত বন্ধ করে আবার কেউ কেউ আবার ¯েপ্র মিশ্রিত বিষাক্ত আম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। অপর দিকে চলতি বছরে অসাধু ব্যাবসায়ীরা বড় বাজারের ভেতরের আড়তে ¯েপ্র মিশ্রিত আম না রেখে নতুন কৌশলে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য নিয়েছে নতুন পদ¶েপ ব্যাবসায়ীরা এবার বড়বাজারের আশে পাশে সুলতানপুর বড়বাজারস্থ দিবা নৈশ কলেজের সামনে সারের দোকানের পাশে, মরহুম আ’লীগ নেতা সৈয়দ কামাল বখত সাকী সাহেবের বাড়ির নিচে, মার্কেনটাইলস ব্যাংক এর নিচে, সুলতানপুর সরদার পাড়া মোড়ে একটি পল্ট্রি ফর্মে ভেতরে সহ বিভিন্ন নির্জন স্থানে আম সংর¶িত রেখে সন্ধায় ¯েপ্র করে ট্রাক ভর্তি করে টাকায় পাঠায়। বড় বাজারের কাচা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির ২/১ জন উদ্ধতন নেতৃবৃন্দের সেল্টারে সাত¶ীরা ও ঢাকার ব্যাবসায়ীরা এ ধরণের জঘন্য ব্যাবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরোজমিনে গিয়ে আম ব্যাবসায়ী কওছার আলী, মজনু সহ আরো অনেকে জানায়, লুকিয়ে ¯েপ্র করবো কেন পুলিশকে তো টাকা দিয়েছি। আমাদের আমের ঘর প্রতি ১০ হাজার টাকা নিয়েছে বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নেতারা ঐ টাকা প্রশাসনকে দিয়ে ম্যানেজ করবে বলে । আর আমরা তো একা মারছি না বাজারের সবাই মারছে। এ ব্যাপারে  সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী কবির“ল হাসান বাদশা এ প্রতিনিধিকে জানায়, আমাদের সমিতির প¶ থেকে ¯েপ্র না দেওয়ার জন্য প্রতিটি ব্যাবসায়ীকে আহবান জানানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের চোঁখ কে ফাকি দিয়ে কেউ যদি আমে বিষাক্ত ¯েপ্র লাগায় তার প্রমান পাওয়া গেলে আমরা সমিতি থেকে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে বড় বাজারের কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রওশোন আলী এ প্রতিনিধিকে জানায়, আমে ¯েপ্র করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। এদিকে আমে বিষাক্ত ¯েপ্র ও কার্বাইট দিয়ে আম পাকানোর ব্যাপারে জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা সমালোচিত হয়েছেন তিনি এক দিনও বড় বাজার পরিদর্শনে যান নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি এ ব্যাপার টি দেখার দায়িত্ববা কার। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টাš— মূলক শাস্থি দাবী সাধারণ জনতার। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এর আশু হস্থ¶েপ কামনা করেছে সাতক্ষীরা বাসী।

কাজী নাসির উদ্দীন /সাতক্ষীরা/জি নিউজ

 

Exit mobile version