একান্ত সাক্ষাৎকারে: মোঃ বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ- শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয়পার্টি

সম্মানিত সাভার-আশুলিয়া বাসী আমার প্রাণ প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমার সংগ্রামী সালাম ও ভালবাসা গ্রহণ করুন। আমি আগামী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাভার আশুলিয়া ঢাকা ১৯ আসনে জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি, পল্লীবন্ধু, বাংলার রূপকার, নয় বছরের সফল রাষ্ট্র নায়ক, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর জাতীয় পাটির মনোনয়ন প্রত্যাশি। আমি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ২২ বৎসর যাবৎ অনেক ত্যাগী, সাহসী, প্রতিবাদী, ন্যায়নিষ্ঠার সাথে অত্যন- কঠিন সময়ে-জাতীয় পাটির দূর-দিনে একজন রাজপথের সাহসী সৈনিক হিসাবে কাজ করে আসছি। আমি ১৯৯২ সনে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয় ছাত্র-সমাজ এর সভাপতি-হিসাবে আমার রাজনীতিতে আসা। পরবর্তীতে আমি জাতীয় ছাত্র সমাজের সাভার উপজেলা সভাপতি, ঢাকা জেলা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে, সাভার উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করি। ছাত্র সমাজের ঢাকা জেলা সভাপতি হিসাবে এবং ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালণ কালে ঢাকা জেলার ৫টি উপজেলা, সাভার, ধামরাই কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার জাতীয় পার্টি ও ছাত্র সংগঠন গঠন করি। যাহার ফলশ্রুতিতে আজ সেই সমস- ছাত্র নেতারা আজ ঢাকা জেলা জাতীয় পাটির প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পরবর্তীতে সর্বশেষ যখন আমাদের সাভারের একসময়ে তুখুর নেতা সাবেক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এরশাদের পালিত পুত্র হিসাবে পরিচিত জনাব ফিরোজ কবীর জাতীয় পাটি ছেড়ে, নেতার সাথে বেঈমানী করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এ যোগ দেওয়ার পর জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান এর নির্দেশে আমি সাভার উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক পদ গ্রহণ করি এবং সাভারের জাতীয় পাটির দূরদিনের কান্ডারী হিসাবে সাভারের সর্বস-রের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করি। আমার রাজনৈতিক দক্ষতা পরিশ্রম আর সাহসের প্রশংসায় মাননীয় চেয়ারম্যান সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডে এক জনসভায় এবং জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে আমার প্রসংশা করে বলেন- আমার দলে অনেক বড় বড় নেতা ছিল- সবাই আমার সাথে বেঈমানী করে দল ছেড়ে চলে গেছেন। জাতীয় পার্টির দূর-দিনে আমি যখন জেল থেকে মুক্ত হয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস-বক অর্পন করতে যাই  তখন একমাত্র ইমতিয়াজি কিছু লোকজন নিয়ে আমার জন্য ফুলের তোড়া নিয়ে দাড়িয়ে থাকতো। তাই আজ আমি ইমতিয়াজকে পুরুষ্কার হিসাবে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব অর্পন করলাম। দীর্ঘদিন ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করার পর ২০১০ সালে ২৮ শে মে ইনুনিয়ার্স ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা জেলায় দ্বী- বার্ষিক সম্মেলন করে আমি ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দেই। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান / মহাসচিব এবি এম রুহুল আমীন হাওলাদার (এমপি) আমার রাজনৈতিক দূরদশিতার কারণে বর্তমানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

প্রিয় সাভার বাসী আপনারা জানেন গত উপজেলা নির্বাচনে সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। বিভিন্ন ভয়ভীতি ও দলত্যাগী নেতাদের রক্তমাখা চোখ রাঙানো হুমকী দামকীর মধ্যও  কারও কাছে মাথানত না করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকি। ফলাফল পাল্টে গেল। নিল নক্সার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও আমি আমার ধর্য্য ও সাহসের সাথে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সভা সমাবেশসহ সকল কর্মসূচী পালন করে আসছি। সেই সাথে আমি আগামী ১০ম জাতীয়  সংসদ নির্বাচনে সাভার ঢাকা ১৯ আসনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আপনাদের কাছে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আবেদন করছি। আশা করি আপনারা আমাকে আপনাদের মতামত জানিয়ে আমাকে উৎসাহিত ও সহযোগীতা করবেন।
সম্পাদনা/শাবানা মন্ডল /০২.৫০ঘ /১মার্চ

Exit mobile version