মামলা চলা অবস্থায় ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডার আহবান করায় তোলপাড়
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, বিরোধপূর্ণ এজায়গাটি নিয়ে পৌরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মামলা চলমান অবস্থায় সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভবন নির্মানের জন্য গত ৫ মে খুলনা হেলথ ইনজিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচ ই ডি)র নির্বাহী প্রকৌশলী মিঃ মনির“জ্জামান টেন্ডার আহবান করেন। ১৬ মে গোপালগঞ্জের মেসার্স সুফিয়া কন্সট্রাকশন টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে লটারির মাধ্যমে কার্যাদেশটি পান। এক তলা ভবন নির্মানে ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে মেসার্স সুফিয়া কন্সট্রাকশন এর ¯^ত্তাধিকারি মিঃ সোহেল শেখ তার ব্যক্তিগত সেলফোনে জানান, কার্যাদেশটি পেয়েছেন তবে কর্তৃপক্ষ এখনও তাকে ওয়ার্ক অর্ডার না দেয়ায় তিনি কাজ শুর“ করেননি। তবে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে কাজ শুর“ করবেন বলে জানান। পুরাতন ভবন অপসরণ ছাড়াই কিভানে সেখানে নতুন ভবন নির্মান হবে বা পুরাতন ভবনের জন্য কোন টেন্ডার কেন হল না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। কর্তৃপক্ষ টেন্ডার আহবান করেছে, আমি অংশ গ্রহণ করে কাজ নিয়েছি।
তবে সার্বিক বিষয়ে (এইচ ই ডি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মিঃ মনির“জ্জামান সেলফোনে জানান, উক্ত জায়গাটি নিয়ে কোন মামলা আছে সেটা তার জানা নেই। যে কারণে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ এস জেড আতীকের সাথে গতকালও কথা হয়েছে তিনি মামলার বিষয়ে তাকে কিছুই জানান নি। এসম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকলে তিনি সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
এদিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এনামুল হক বিশ্বাস জানান, ওই জায়গাটি আমরা অনেক আগে থেকেই দাবী করে আসছি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং জেলা মন্ত্রীর কাছে আবেদন করে তাদের মোটামুটি একটা অনুমতি নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। বিষয়টির সুরহা করতে জেলা আওয়ামী লীগ সভপাতি ও সেক্রেটারি দায়িত্ব নিয়েছেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর করতে আরও অনেক জায়গা আছে সেসম¯— জায়গায় ভবন নির্মান করা হবে বলে জেলা মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এরমধ্যে টেন্ডার হল কি ভাবে বুঝতে পারছিনা।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌর পিতা আলহাজ্ব এম এ জলিল জানিয়েছেন, জায়গাটি নিয়ে মামলা চলছে এরই মধ্যে ভবন নির্মানে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি চলছে চলতি সপ্তাহের মধ্যে মামলা করে ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে আদালতের কাছে নিষেধাজ্ঞা দাবী করবো। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবী, তারা মনে করেন এজায়গাটি তাদের। তারা দীর্ঘদিন তাদের আয়ত্বে রেখেছেন যেকারণে তারা সেই ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
কাজী নাসির উদ্দীন,