মিসরে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় নিহত ৫২৫ ও তীব্র নিন্দার ঝড়

ছবি বিবিসিবাংলার

অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ- নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি মুরসিপন্থীদেরমিসরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক রক্তক্ষয়ী অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন মিশরে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেনইউরোপীয় ইউনিয়নও মিশর কর্তৃপক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেজাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক সহিংসতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেজাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মিসরের কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেওয়ায় বান কি মুন মর্মাহতইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন মিসরে সহিংসতার ঘটনায় কড়া নিন্দা জানিয়ে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেনমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গতকালের অভিযানকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেনএকই সঙ্গে সহিংসতার ঘটনাকে দেশটির রাজনৈতিক সংস্কার উদ্যোগের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটি ধাক্কা বলে বলে অভিহিত করেছেন তিনিযুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরণ বলেন, সহিংসতায় কোনো সমাধান আসবে নাসত্যিকার অর্থে ক্ষমতার রদবদল ও গণতন্ত্রের জন্য সব পক্ষকেই ছাড় দিতে হবেঅবিলম্বে দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ভেস্টারভেলে মিসরে সহিংসতার ঘটনাকে খুব বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেনগত ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনীএরপর থেকে তাঁকে পুনর্বহালের দাবিতে কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের পাশে এবং কায়রোর কেন্দ্রস্থলে আল-নাহদা স্কয়ারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছিল ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থকেরাতাদের হটাতে এর আগে গত ২৭ জুলাই রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৮০ জন নিহত হয়এরপরও সরকার সেখান থেকে তাদের সরাতে পারেনিসরকারি বাহিনীর এই অভিযানকে গণহত্যা বলে অভিহিত করে ব্রাদারহুড দাবি করেছে, এতে দুই হাজার মানুষ নিহত ও পাঁচ হাজারের বেশি আহত হয়েছেএই গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বা ন জানায়  দলটি  খব অনলাইনের

 

 

Exit mobile version