এলজিইডিতে তোলপাড় , চাকরির লোভ দেখিয়ে দুই বোনকে ধর্ষণ

আগারগাঁও প্রতিনিধি,জি নিউজঃ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এলইজিডির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে রাজধানীর আগারগাঁও এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে। সম্পর্কে ভাইঝি হলেও লম্পট এই কর্মকর্তার যৌন লালসা থেকে মুক্তি পায়নি কলেজপড়ুয়া দুই বোন। এলজিইডিতে মাস্টার রোলে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে মাসের পর মাস ছলে-বলে-কৌশলে দুই বোনের দেহ ভোগ  করেছে এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ট্রেনিং অফিসার মো. মনির হোসেন হারুন। একথা ফাঁস করলে তাদের রাজধানীর ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দিয়েছে সে। সম্পর্কে চাচা কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে ওই মেয়ে দু’টি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। প্রাণভয়ে কলেজেও যেতে পারছে না। এ বিষয়ে যথাযথ প্রতিকার চেয়ে ধর্ষিত এক বোন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ওই অভিযোগে বলা হয়, তিন  সন্তানের জনক এলজিইডির ট্রেনিং অফিসার মো. মনির হোসেন হারুন দুই মেয়েকে নানা কৌশলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে ক্ষান্ত হয়নি, চাকরি দেয়ার শর্তে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর নামে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষও নিয়েছে। কিন্তু কাঙিক্ষত চাকরি ধর্ষিতার ভাগ্যে জোটেনি। প্রায় ১ বছর আগে মনির হোসেন হারুন খালাতো ভাইয়ের কলেজপড়ুয়া কন্যা (২০)-কে এলজিইডিতে মাস্টার রোলে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে তার মিরপুর কাজীপাড়ার বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর প্রায় ৮ মাস ধরে মাসে কমপক্ষে ২-৩ বার করে সে ধর্ষণ করে আসছিল। এর আগে একই কায়দায় সে ওই কলেজ ছাত্রীর বড় বোনকেও  ৫-৬ মাস ধর্ষণ করে। কিন্তু চাকরি না হয় এ আশঙ্কায় সে কখনও প্রতিবাদ করেনি। দীর্ঘ ৮ মাস নীরবে যৌন নির্যাতন সহ্য করার পরও চাকরি না দেয়ায় কলেজছাত্রী প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ঘটনাটি উল্লেখ করে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। একই সঙ্গে ঘুষ বাবদ দেয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে  হাইকোর্টের একজন আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে এলজিইডির অভ্যন্তরে তোলপাড় শুরু হয়।

ঘটনা জানার পর এলজিইডির কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন হারুন নানা মাধ্যমে অভিযোগকারী কলেজছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন হারুন বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে ওই মেয়ে দু’টিকে আমি সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। ৭-৮ মাস ধরে তাদের সঙ্গে আমার  কথাবার্তা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও ঘুষ নেয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে সহযোগিতার ধরন এবং তাদের দীর্ঘ যোগাযোগের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মনির হোসেন হারুন।

এদিকে ধর্ষিতাদের একজন বলেন, হারুন কাকা চাকরির দেয়ার ফাঁদে ফেলে আমাদের দুই বোনের সর্বনাশ করেছেন, ইজ্জত লুটে নিয়েছেন। আমরা তার কন্যার সমান হলেও তিনি আমাদের ছাড়েননি। পৃথিবীতে এমন মানুষ দ্বিতীয়টি আছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

Exit mobile version