শিকড় ঝিনাইগাতীর উদ্যেগে ৭ম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী ঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ¯স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিকড় ঝিনাইগাতীর উদ্যেগে ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় স্থানীয় হাজি অছি আমরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধা যাচায়ের লক্ষ্যে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ১৯০ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। পরীক্ষা দিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থীকে এ পরীক্ষার বিষয়ে তাদের অনুভূতি জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলে, শিকড় ঝিনাইগাতীর বদৌলতে আমাদের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া এলাকায় এ ধরনের প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে। বৃত্তি পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, এ ধরনের পরীক্ষা ভবিষ্যতে  আমাদের প্রেরণা যোগাবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কক্ষ পরিদর্শন করেন, সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আওয়াল, সহ-সভাপতি প্রভাশক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সাইফুল আমীন মুক্তা, সহ-সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পরীক্ষায় হল সচিবের দায়িত্ব পালনে ছিলেন, প্রভাশক আলীম আল রেজা নিংকন, হল সুপার হারুনুর রশিদ হারুন। মেধা যাচাই এ পরীক্ষায় সকল টেলেন্টপুল প্রাপ্তসহ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে বলে সংগঠনের কর্মকর্তাগণ জানান। স্বেচ্ছাসেবী  এ সংগঠন শিকড় ঝিনাইগাতী ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র উপজেলার গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরুস্কৃত করা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, শীত বস্ত্র বিতরণ, সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো,  অর্থের অভাবে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগীতা প্রদান, উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের গুণী ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানসহ নানান সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। অত্র সংগঠনের সকল সদস্য এ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা , শিক্ষাগত যোগ্যতা নিম্নে স্নাতক পাশ এবং সদস্যদের মধ্যে অনেকে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যক্ষ,অধ্যাপক, শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দপ্তরে কর্মরত চাকুরীজীবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আওয়ালকে তাদের সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্বাধীনতার ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও সারা দেশের তুলনায় আমাদের এ উপজেলাটি এখনও  সমানুপাতিক ভাবে উন্নয়ন হয়নি, যে কারণে আমাদের প্রধান লক্ষ হচ্ছে এ এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী করে গড়ে তোলা এমনকি তাদের লক্ষস্থলে পৌছার জন্য সহযোগীতা করা। কারণ উচ্চ শিক্ষার হার বাড়লেই , কর্ম সংস্থানের হার বাড়বে আর তখনই এলাকার উন্নয়ন শত ভাগ সম্ভব হবে।

 

Exit mobile version