মুরসির নতুন বিচার, প্রকাশ্যে মুসলিম সিস্টারহুড

miusar 19অনলাইন ডেস্ক ঃ- বিদেশি সংগঠনগুলোর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করাসহ সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর অভিযোগে মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হতে পারে৷ মুরসি ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হেজবুল্লাহর সঙ্গে জোট গড়ে তুলেছিলেন বলে জানান কৌঁসুলিরা৷ মুরসির সঙ্গে তাঁর দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক নেতা ও সহযোগী মিলিয়ে আরো ৩৬ জনের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে৷ জুলাইয়ে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর খুন ও সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগে মুরসির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একটি বিচার শুরু হয়েছে৷ ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রাজধানী কায়রোয় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে বিক্ষোভ দমন অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মানুষ হতাহতের ঘটনার অভিযোগে গত মাসে মুরসির বিচার শুরু হয়৷ বিচার প্রক্রিয়া মুলতুবি রাখা হয়েছে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ তৎপর মুসলিম সিস্টারহুড- রাজধানী কায়রোতে তীব্র শীতের মধ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি৷ এরই মধ্যে চলছে বিক্ষোভ৷ এবার মুরসিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে মিশরের নারীরা৷ দলের নাম ‘মুসলিম সিস্টারহুড’ – যারা মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নারী সংগঠনের সদস্য৷ এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী৷ উত্তাল মিশর – শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট- আদলি মনসুর এতকাল সাংবিধানিক আদালতের প্রধান ছিলেন৷ আপাতত তাঁর হাতেই ক্ষমতার রাশ চলে এলো৷ শপথ গ্রহণ করে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড-এর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ প্রেসিডেন্ট মনসুর বলেন, তারাও দেশের অংশ এবং জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হলো৷ বুধবার রাতভর বিক্ষোভের সময় পুলিশ তাদের উপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ কিন্তু নারী সমর্থকদের পিছু হঠাতে পারেনি তারা৷ এবারই প্রথম দলের নারী সদস্যরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভে নামলেন৷ মুসলিম সিস্টারহুড সম্পর্কে অন্যান্য দলগুলোর মত হলো, মুসলিম ব্রাদারহুডকে বাঁচাতে এটি একটি আন্তর্জাতিক কৌশল৷ কেননা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নারীদের সাথে কঠোর আচরণ করবে না বলে মনে করা হয় এবং এর মাধ্যমে বিক্ষোভকেও জিইয়ে রাখা যাবে৷ এমনকি জনগণের সমর্থন আদায়েও সুবিধা হবে৷ এই নারী সংগঠনটি এতোদিন প্রকাশ্যে কাজ না করে পরিবার কেন্দ্রিকভাবে কাজ করেছে এবং এক্ষেত্রে তারা বেশ সংগঠিত ও একনিষ্ঠ৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ আগ্রাসী৷ মুরসির পতনের পর গত কয়েক মাস আড়ালে থেকেও তারা আন্দোলন চালিয়ে গেছে৷ সৌহিদা আব্দেল রহমান এমনই একজন সদস্য৷ যার বয়স মাত্র ১৩ বছর৷ তিনি বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, তারা ধর্ম রক্ষার জন্য এই আন্দোলনে নেমেছেন৷ মুরসির পক্ষে বিক্ষোভের জন্য অক্টোবরে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে মা-সহ আটক করা হয়েছিল তাকে৷ তবে বয়সের কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও মা এখনও আটক৷ সৌহিদা এপিকে আরো জানায়, সেনাবাহিনী তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা আর পিছু হটবে না৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানান, এই আন্দোলনে নারী এবং শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ বিশেষ করে নারীদের, কেননা প্রকাশ্যে আন্দোলন বিক্ষোভের সময় ২১ নারী আটক হন৷ এদের অনেককেই ১১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানী কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে মুসলিম সিস্টারহুড এবং দলে আরো নারীদের টানার চেষ্টা করছে তারা৷ খবরDW DE এর

 

Exit mobile version