গণমাধ্যমের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা- প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

জিনিউজ বিডি.নেট

ঢাকা প্রতিনিধি, জি নিউজ : বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১২ বিতরণী অনুষ্ঠানেতথ্য ও সংবাদ প্রচারে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগে গণমাধ্যমের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মত প্রকাশে এবং গণতন্ত্রকে টেকস করতে ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করেছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রানিক মিডিয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর চালু করা এ পুরস্কার এ বছর পেয়েছেন প্রথম আলোর শরীফুজ্জামান পিন্টু এবং এটিএন নিউজ-এর রাহাত মিনহাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী ও জিয়াউদ্দীন তারিক আলী, জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী, সেলিনা হোসেন এবং রোবায়েত ফেরদৌস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। আবার গণতন্ত্রকে টেকসই করতে এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম।

সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা গঠনমূলক সমালোচনা করুন। সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিন। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে হেয় করার জন্য লিখবেন না। দেশ, সমাজ ও মানুষের ক্ষতি হতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন। সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘কল্যাণ তহবিল’ গঠনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। সংবাদ কর্মীদের জন্য বেতন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমান সত্য কথা বলতে কখনো পিছ পা হননি। গণতন্ত্র এবং মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন তিনি।

গত সরকারের আমলে বেসরকারি খাতে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য দ্বার খুলে দেই। আজ দেশে প্রায় দুই ডজনেরও বেশি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর অধিকাংশেরই অনুমতি আমাদের সরকারের আমলে দেয়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ বিচার প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমেই কেবল এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব। দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য এবং এ বিচারের পক্ষে জনমত তৈরিতে আমাদের গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণ, অনুসন্ধান ও তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকার উল্লেখ করে বলেন, কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশন ছাড়া অধিকাংশ প্রচার মাধ্যম এ ক্ষেত্রে খুবই প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বজলুর রহমান সত্য কথা বলতে কখনো দ্বিধাবোধ করতেন না অথবা কোন মহলের কাছে আত্মসমর্পন করতেন না। তার কলম সবসময় গণতন্ত্র ও জনগণের জন্য সোচ্চার ছিল। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমার কাছে বজলুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত ব্যক্তি।

জিনিউজ বিডি.নেট /জাতীয়/আল-আমিন/২৯-০৩-২০১৩

Exit mobile version