রাবিতে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলা আহত অর্ধশতাধিক

নিউজ বিডি ডট নেট ঃ-   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, ছড়রা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দলটির ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রথমবারের মতো সহিংস রূপে হাজির হলো। উল্লেখ-পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বর্ধিত ফি প্রত্যাহার এবং বিভিন্ন বিভাগে চালু করা সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করছেন। চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের বর্ধিত ফি বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। তবে বর্ধিত ফি পুরোপুরি প্রত্যাহার ও সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধের দাবি মেনে না নেওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন  আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, শিক্ষার্থীদের সমাবেশের মধ্যে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে মিছিল থেকে তারা একাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করে। তারা জানান, এরপর পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান। এদিকে ক্যাম্পাসের ‘নিরাপত্তায়’ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের অবস্থানের মাঝেই হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটলেও কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে জি নিউজ বিডি ডট নেটকে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দাবি- আন্দোলন নস্যাতের উদ্দেশ্যে এভাবে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করার অপচেষ্টা করছে একটি মহল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান বলেন, “আমরা নৈরাজ্যকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় তারা খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রক্টর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের তালা ভেঙে দেন। এর কিছুক্ষণ পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এদুটি ভবনে আবারো তালা লাগিয়ে দেন। তবে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে অন্যান্য ভবনের তালা ভাঙতে পারেননি তিনি। রাঃ বিঃ বর্ধিত ফি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সান্ধ্য কোর্স বাতিলের দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ ও পুলিশ।  এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।তাঃ-০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।

 

Exit mobile version