স্পোর্টস ডেস্কঃ- সারাদিনে মাত্র ৩টি উইকেট হারাল বাংলাদেশ; তাও আবার পঞ্চম দিনে! এরকম খেলা আগে স্বপ্নেই খেলতেন টাইগাররা। কিন্তু তা বাস্তব হয়ে দেখা দিল শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। স্বাগতিক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে শুক্রবার ৪ উইকেটে ৩০৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। সূত্র-রেডিও তেহরান, এর ফলে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪৬৭ রান। হাতে ছিল তখন একটি পুরোদিন এবং শুক্রবারের ৬ ওভার। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাকি থাকার কারণে আম্পায়াররা দু’টি ওভার বেশি খেলিয়ে নেন। তাতে শ্রীলঙ্কার সামনে অন্তত একটি উইকেট হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তারা। ফলে তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান অপরাজিত থেকে ১২ রান করে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন। পঞ্চম দিনেও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে থাকেন তামিম ও শামসুর। তবে তাদেরকে বিশাল টার্গেট তাড়া করতে দেখা যায়নি। শুরু থেকেই তারা ঠাণ্ডা মেজাজে সিংহলিজ বোলারদের দেখে-শুনে খেলতে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩১ রানের মাথায় ভিথানাগের একটি বলে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল। বলটি তামিমের প্যাড ও ব্যাটের মাঝখান দিয়ে সোজা মিডল-স্টাম্পে আঘাত হানে। দলের রান তখন ৭১। এর ঠিক ১০ রানের মাথায় ঠিক একই কায়দায় আউট হয়ে যান শামসুর রহমান। তখনও মধ্যাহ্ন বিরতির সময় হয়নি। ফলে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে বোধ হয় ধস নামা শুরু হল। কিন্তু শামসুর রহমান আউট হওয়ার পর ‘ম্যাচ বাঁচানোর দৃঢ় প্রত্যয়’ নিয়ে ক্রিজে আসেন মমিনুল হক। তিনি ইমরুল কায়েসের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর এই জুটি দলকে ১৫১ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। এ অবস্থায় ইমরুল কায়েসকে ব্যক্তিগত ২৫ রানে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন পেরেরা। এরপর মমিনুল হকের সঙ্গে জুটি গড়েন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অপরাজিত ১২০ রান করে ড্র নিশ্চিত করেন তারা। মমিনুল হক ১০০ রানে এবং সাকিব আল হাসান ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ও ম্যান অব দ্যা সিরিজি নির্বাচিত হন। আগামী বুধবার একই স্টেডিয়ামে দু’দলের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে একই মাঠে শুক্রবার। এরপর দু’দল ঢাকায় ফিরে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। তাঃ-০৯ ফেব্রুয়ারি২০১৪।