আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- ভারতের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০৩টির বেসরকারি ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে এনডিএ জোট ৩১৮টি আসনে বিজয়ী হয়েছে, এগিয়ে রয়েছে ১৭টিতে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ৫৭টিতে বিজয়ী এবং দু’টিতে এগিয়ে আছে। অন্যান্যরা ১১৭টিতে বিজয়ী এবং ২১টিতে এগিয়ে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে এডিএমকে। তারা জিতেছে ৩৭টি আসনে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৩৪টি আসন। ভারতে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২টি আসন। কিন্তু প্রয়োজনীয় আসনের চেয়েও বেশি পাওয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট আবার ভারতের ক্ষমতায় আসছে এবং নরেন্দ্র মোদীই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। মোদী বরোদা এবং বারাণসী দু’টি আসন থেকেই জিতেছেন। বরোদা থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার ভোট পেয়ে জিতে রেকর্ড গড়েছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে কপিল সিবাল, সুশীলকুমার শিন্দে, সালমান খুরশিদ, গোলাম নবী আজাদসহ অনেকেই পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছেন। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ভরাডুবি হওয়ার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল যে ভাল হবে না, তা ভোটের অনেক আগেই বিভিন্ন জনমত জরিপে উঠে এসেছিল। নির্বাচনের পরও বিভিন্ন বুথ ফেরত জরিপে কংগ্রেসের পরাজয়ের দিকেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বুথ ফেরত জরিপকে প্রত্যাখ্যান করলেও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সোনিয়ার সঙ্গে হাসিমুখে পরাজয়ের সব দায় স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীও। সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাহুল বলেন, “কংগ্রেসের ফল এবার খুবই খারাপ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। সহ-সভাপতি হিসেবে আমি এই পরাজয়ের দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল আটটায় লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে নয় দফার এই ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয় ১২ মে। ভোট নেয়া হয় ভারতের ২৯টি রাজ্য ও সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৪৩টি আসনের। নয় লাখ ৩০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভারতের ইতিহাসে এবারই রেকর্ডসংখ্যক ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোটারসংখ্যা ছিল ৮০ কোটি ১৪ লাখ। ভোট দেন ৫৫ কোটি ১০ লাখ ভোটার।এবার ভোট নেয়া হয়েছে ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৬টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ভোট গণনা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, এ লক্ষ্যে গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ প্রতিবেদনটি রেডিও তেহরান এর,নিয়োগ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৬ জন নিরাপত্তাকর্মী। রয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, র্যাফ ও রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডও। গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা আইন জারি করা হয়েছে।