আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- গত বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব৷ চলবে রবিবার পর্যন্ত৷ সামান্য ব্যবধানে হলেও রক্ষণশীল শিবিরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে জনমত সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশের মধ্যে ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডসের ভোটাররা বৃহস্পতিবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন৷ বাকি দেশগুলিতে শুক্র, শনি ও রবিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ শুক্রবার আয়ারল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের পালা৷ লাটভিয়া, মাল্টা ও স্লোভাকিয়া শনিবার ভোটের আয়োজন করছে৷ জার্মানি সহ বাকি ২১টি দেশের মানুষ রবিবার ভোট দিতে পারবেন৷ রবিবার রাতেই ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ তবে ইউরোপের প্রায় ৪০ কোটি ভোটারের মধ্যে কতজন আদৌ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, তা নিয়ে সংশয় ও শঙ্কা কাটছে না৷ লিসবন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় সাংসদদের ক্ষমতা অনেক বাড়ানো সত্ত্বেও অনেক মানুষের মনে তেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না৷ আসল লড়াই রক্ষণশীল ও সামাজিক গণতন্ত্রীদের মতো বড় রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে ঘটলেও এবারের নির্বাচনে দক্ষিণপন্থি ‘পপুলিস্ট’ দলগুলির সাফল্যের সম্ভাবনা যথেষ্ট বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ এদের অনেকেই আবার ইউরোপীয় সমন্বয়ের বিরোধী৷ ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি ও নেদারল্যান্ডসে এই সব ‘ইউরোস্কেপটিক’ দল এমনকি সর্বোচ্চ স্থান দখল করতে পারে৷ একটি জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ৭৫১ আসনের পার্লামেন্টে তারা ১০০টি আসন দখল করবে, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি৷ ইউরোপের অনেক দেশে চরম বেকারত্বের পুরোপুরি ফায়দা তুলছে এই সব দল৷ উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া ব্যয় সংকোচ ও সংস্কারের নীতির চরম বিরোধিতা করে তারা ইউরোপের চরিত্র বদলে দেওয়ার পক্ষে৷ ফলে ভবিষ্যতে ইউরোপীয় স্তরে এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা আরও বেড়ে যাবে৷একই সমীক্ষা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে হলেও রক্ষণশীল শিবিরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে৷ প্রতিবেদনটি ডি ডাব্লিউ এর,এমনটা হলে তাদের শীর্ষ প্রার্থী জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার-ই ইউরোপীয় কমিশনের আগামী প্রধান হতে চলেছেন৷