আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৭০০ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। ব্রিটেনভিত্তিক কথিত মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগকেই হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আয-যোর প্রদেশের আল-শেইতাত গোত্রের লোকদের ওপর গত দু’সপ্তাহে আইএসআইএল এই পাশবিকতা চালায়। নিহতদের প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক। তাকফিরি সন্ত্রাসীরা এসব মানুষকে আটক করার পর নির্বিচারে হত্যা করে। নিহত ৭০০ ব্যক্তির মধ্যে অন্তত ৬০০ জন বেসামরিক লোক ছিল বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন বিরোধী সংস্থা অবজারভেটরি।
দেইর আয-যোর প্রদেশের কারানজি, আবু হামাম ও কাশকিয়া গ্রামে এ গণহত্যা চালায় আইএসআইএল। অবজারভেটরির প্রধান রামি আব্দের রহমান জানিয়েছেন, আল-শেইতাত গোত্রের আরো ১,৮০০ ব্যক্তির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
অন্যান্য গণহত্যার মতো গত দু’সপ্তাহের এ পাশবিকতার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে আইএসআইএল জঙ্গিরা। লোমহর্ষক এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শেইতাত অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে একের পর এক লাইন দিয়ে বসিয়ে নিরীহ মানুষের গলা কাটছে জঙ্গিরা। গলা কাটার পর হতভাগ্য লোকগুলো যখন মৃত্যু যন্ত্রনায় মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে তখন সন্ত্রাসীরা ঠাট্টা-মস্করা করছে এবং ছাগলের মতো হেঁটে নিহত ব্যক্তিদের অনুকরণ করছে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন ছিল আহত ব্যক্তি। আইএসআইএল-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তারা আহত হয়েছিল। তাকফিরিরা নিকটবর্তী হুজেইন হাসপাতাল ও মায়াদিন শহরের ‘নিউ মেডিক্যাল সেন্টার’ থেকে চিকিৎসারত এসব আহত ব্যক্তিকে ধরে এনে গলা কেটে হত্যা করে। শেইতাত গোত্রের বয়োঃবৃদ্ধ নেতারা আইএসআইএল’কে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এ গণহত্যা চালায় তারা।
গত রোববার একজন শেইতাত নেতা আইএসআইএল গোষ্ঠী ত্যাগ করে আল্লাহর কাছে তওবা করার জন্য জঙ্গিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারা।সূত্র:রেডিও তেহরান,তিনি বলেছিলেন, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা তো দূরের কথা যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করারও বিধান ইসলামে নেই। কিন্তু জঙ্গিরা তার কথা না শুনে উল্টো এ উপদেশ শোনানোর অপরাধে গোত্রটিতে গণহত্যা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।