জাহিদুল ইসলাম মিলন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃশেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার আদিবাসী পল্লী নামে অধ্যুষিত এলাকা মরিয়ম নগরে মহিলা সমবায় সমিতির দেশীয় মুরগী পালন ও বাচ্চা উৎপাদনে সাফল্য এনেছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ১১৩ জন মহিলা সংঘবদ্ধ হয়ে সমবায় অধিদপ্তর থেকে ২০১৩সালের ২৫ মার্চ ৬০৪নং নিবন্ধন ন¤^র নিয়ে দেশীয় মুরগী পালন ও ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরই মাঝে তৎকালীন সময়ে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ নামের এক ছাত্রের উদ্ভাাবিত ও তৈরীকৃত ইনকিভেটর মেশিন গুলোর মধ্যে থেকে একটি মেশিনটি, স্থানীয় সমবায় অধিদপ্তর ও ঝিনাইগাতী এডিপি ওয়াল্ডভিশনের সহযোগীতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ কর্তৃপক্ষ মরিয়মনগরে মহিলা সমবায় সমিতিকে বিনামূল্যে প্রদান করেন। এই ইনকিভেটর মেশিন ও তার সাথে একটি জেনারেটর মেশিন পাওয়ার পর ১ম দফায় ১৬০টি, ২য় দফায় ২০৬টি, ৩য় দফায় ৩২০টি, ৪র্থ দফায় ৪০০ এবং ৫ম দফায় ৫৭৫টি ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করলেও অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে বাচ্চা ফোটানোর কারণে উৎপাদন খরচ হয়েছে অনেক বেশী। এক সেট ডিম মেশিনের মাধ্যমে ফোটানোর জন্য চেকিং করতে হয় ৭ এবং ১৮ দিনের মাথায়। যেসব ডিম ফোটবেনা বলে সনাক্ত করা হয়, সেসব ডিম সেট থেকে বের করে বাকী ডিমগুলো সেটে রাখার ১৯-২১ দিনের মধ্যে বাচ্চা উৎপাদন সম্পন্ন হয়। এই মেশিনের মাধ্যমে এক সাথে ৯ শতটি ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব। সমিতির ১১৩ জন সদস্যাদের নিকট থেকে দেশীয় মুরগীর ডিম সংগ্রহ করা হয়। বাচ্চা ফোটানোর পর ১ম দুই মাস মরিয়মনগর গ্রামের ক্লারা চিরান ও অহনা কোচ লালন পালন করেন এবং পরবর্তী দুই মাস দুধনই গ্রামের ময়না ও বনগাঁও গ্রামের আতিয়া বেগম তাদেও বাড়ীতে নিয়ে লালন-পালন শেষে বিক্রিও যোগ্য হলে সেই সব মমোরগ-মোরগী সমিতির সদস্যা অথবা বাজাওে নিয়ে বিক্রি করা হয়। আর বিক্রয়লব্দ টাকা থেকে সংগ্রহকৃত ডিমের মূল্য পরিশোধ করা হয়। এ ব্যাপারে উক্ত সমিতির সভানেত্রী সুফিয়া ¤্রং এর সাথে কথা হলে তিনি স্থানীয় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও এ প্রতিনিধিকে বলেন, “অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জেনারেটর দিয়ে ডিম ফোটানোতে উৎপাদন খরচ হয়েছে অনেক বেশী। এ ক্ষেত্রে ৮৫ ওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ/সোলার স্থাপন করতে পারলে, একদিকে কমে যাবে উৎপাদন খরচ, অন্যদিকে নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে তাপ দেওয়ার ফলে সকল ডিম থেকে পরিপক্ক বাচ্চা ফুটবে। কিন্তু এত টাকা দিয়ে ৮৫ ওয়াটের সোলার ক্রয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকার বা কোন সংস্থার সহযোগীতা পেলে ভাল হতো।”