অনলাইন ডেস্ক:- বিশ্বে প্রতিদিন নোনা লেগে ১৯.৯ বর্গ কিলোমিটার সেচজমি উর্বরতা হারাচ্ছে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে এ কারণ খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯.৯ বর্গ কিলোমিটার সেচজমি প্রতিদিন নোনার কারণে নষ্ট হচ্ছে। গত ২০ বছর ধরে এ ধারা চলছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এ সমীক্ষা চালিয়েছে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের কানাডা ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ওয়াটার, এনভেরমেন্ট এবং হেলথ।
এতে ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদন কমার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংকটও দেখা দেবে। ১৯৯০’এর দশকে চার কোটি ৫০ লাখ হেক্টর সেচজমি লবণাক্ত হয়ে নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ২০ লাখ হেক্টর। অর্থাৎ ফসলের উপযুক্ত বিশ্বের সেচজমির ২০ শতাংশ এ নষ্ট হয়ে গেছে।
নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না করে পানিসেচ দেয়া হলে জমিতে লবণাক্তটা দেখা দেয়। গত বছর এ ভাবে যে পরিমাণ জমি নষ্ট হয়েছে তাতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৭৩০ কোটি ডলার সমপরিমাণ। জাতিসংঘের সমীক্ষায় বলা হয়েছে গাঙ্গেয় অববাহিকায় ভাল জমিতে যে পরিমাণ তুলার ফলন হয় নোনা জমিতে তার পরিমাণ ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সিন্ধু অববাহিকায় এ ভাব চালের উৎপাদন ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। এ ভাবে আমেরিকার কলোরাডো নদীর অববাহিকায় আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ কোটি ডলার।
২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা নয়শ কোটি স্পর্শ করবে বলে হিসাব করা হয়েছে। সে সময়ে দানা শস্যের উৎপাদনের পরিমাণ ৫০ ভাগসহ খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে ৭০ শতাংশ। খবর:রেডিও তেহরান,দ্রুত মোকাবেলা করা না হলে চলতি সে সময়ে জমি লবণাক্ত হওয়ার সমস্যা বিশ্বে ডেকে আনতে পারে খাদ্য সংকট। এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে