অনলাইন ডেস্ক:- ঘরের কাজ ও শপিং করে অনেকেই নিজেদের ফিট রাখার জন্য কোন কিছু করার সময় পায় না। বিপজ্জনক রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং নিজেকে সুস্থ ও কর্মঠ রাখার জন্য অবশ্যই কিছু ফিটনেস তত্ত্ব মেনে চলা উচিৎ। অনেক নারীরা বিশ্বাস করেন, একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানোর পর সৌন্দর্যের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখানে সৌন্দর্যের নয়, ভাল স্বাস্থ্যের কথা বলা হচ্ছে। একজন কিশোর, তরুণ হোক আর কোন বৃদ্ধই হোক না কেন ফিটনেস রুটিন সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম শুধু আপনার ওজন সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলা করবে না, সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
এখানে, মহিলাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস তত্ত্ব আলোচনা করা হল–
১. স্থুলতা দূর করুন:
স্থুলতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। স্থূলতার কারনে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা সাধারণত আসীন জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর কারনে হয়ে থাকে। তাই, অবশ্যই এসব দূর করতে হবে।
২. এক দিনে ৩০ মিনিট:
প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যায়াম আপনার স্বাস্থ্যেকে আরও উন্নত করে তুলতে পারে। একজন বিশেষজ্ঞের মতে, সপ্তাহে পাঁচ দিন মাত্র ৩০ মিনিট করে ওয়ার্ক–আউট করলে আপনি আসীন জীবনধারার প্রতিকূল প্রভাব অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি আপনার প্রতিদিনের জীবন–যাত্রায় ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন করে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতে পারেন। যেমন– লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, আপনার গাড়ি লাইনের শেষে পার্ক করুন। এতে আপনার কিছু সময় হাটতে হবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
৩. বিষণ্ণতা মুক্ত থাকুন:
পুরুষের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি স্ট্রেস এর সমস্যায় ভোগে। যা বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শ্বাস–প্রশ্বাসের ব্যায়ামটি অবশ্যই করুন। এমনকি যখন আপনি ঘরের কাজ করবেন, তখনও শ্বাসের প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে চালিত করুন। এতে আপনার বিষণ্ণতা অনেক কমে যাবে।
৪. পেশী ও যুগ্ম ব্যথা:
কখনই আপনার শরীরের কোন পেশী টান বা যৌথ যন্ত্রণা অবহেলা করবেন না। কারন, আমাদের শরীরের পেশীসমূহ একে অপরের সাথে সংযুক্ত। পেশী ও যুগ্ম ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে তা আমাদের শরীরের অন্যান্য পেশীর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, পেশীতে কোন সমস্যা হলে, খুব দ্রুত এর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
৫. হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত এবং ওজন প্রশিক্ষণ:
মহিলাদের জন্য আদর্শ ফিটনেস প্রোগ্রামে পেশীর শক্তি বৃদ্ধি এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। একটি ধারাবাহিক পুনরাবৃত্তিমূলক বায়ুজীবী পরিকল্পনা করা উচিৎ। যার মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
৬. সমন্বয়:
আপনি যদি আপনার সুস্থতার মাত্রা পরিমাপ করতে চান, তাহলে ১২ থেকে ১৩ সপ্তাহ ফিটনেস প্রোগ্রাম চালিয়ে যান। এতে আপনি নিজেই পরিবর্তনটি উপলব্ধি করতে পারবেন।
৭. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
দৈনন্দিন রুটিনে অল্প পরিমাণে শারীরিক কার্যকলাপ করা হলে তা হৃদয় ও বাত এর সমস্যা অনেকাংশে দূর করে। তবে, যে কোন ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়। আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত কোন শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন বা আপনি যদি গর্ভবতী অবস্থায় থাকেন তাহলে ব্যায়ামের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনার শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার উচ্চতা ও বয়স এর দিকে লক্ষ্য রাখুন। অতিরিক্ত ওজন হ্রাসের ফলে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। প্রতি মাসে একবার অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাত করা জরুরি। শরীরের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ নেয়ার জন্য শুধুমাত্র তাদেরকেই ভরসা করা উচিৎ।–সূত্র: টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।