স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের নানা ধরনের জটিলতার মধ্যে একটি হলো ‘ঈর্ষা’। এই নেগেটিভ ইমোশনের দরুণ দাম্পত্য পরিণত হয় শুধুমাত্র এক মামুলি নিয়মরক্ষার খেলায়। দাম্পত্যের নানা জটিলতা নিয়ে এবারের আয়োজন। লিখেছেন আফরিন মাসকুরা আমার স্বামী আমার থেকে অনেক বেশি ক্যারিয়ারিস্ট, আর অনেক বেশি সফল মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমিও তো পরিবারের জন্য, বাচ্চার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। লেখাপড়ায় ভালো হওয়ার পরেও ক্যারিয়ারে মন দিতে পারিনি আমি। ও এত সফল আমার এফর্টের জন্যই। সবাই কেন ওর প্রোমোশন, ওর নতুন গাড়ি, ওর লাইফস্টাইল নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে কিন্তু আমার পরিশ্রম, আমার খাটনি নিয়ে তো ভুলেও কেউ কোনো মন্তব্য করে না। একেক সময় মনে হয়, সব ছেড়েছুড়ে চলে যাই।
আচ্ছা, আপনারও কি মাঝে মাঝে এই রকম মনে হয়। আপনার সবচেয়ে কাছের প্রিয় মানুষটিকে আপনার মনের অজান্তে হিংসা করেন না তো? আপনার মনে স্বামীর সাফল্য, জনপ্রিয়তা বা অন্য কোনো কারণবশত বিদ্বেষ জমা হচ্ছে না তো? স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের নানা ধরনের জটিলতার মধ্যে একটি অবশ্যই ‘ঈর্ষা’। এই হিংসার জন্ম, সঙ্গীর সাফল্য বা চরিত্রের কোনো একটি দিক সম্বন্ধে নেতিবাচক চিন্তা জমে জমেই; কিছুটা বঞ্চনার দুঃখ এবং হয়তো কিছুটা অভিমান এতে মিশে থাকে। এই নেগেটিভ ইমোশনের দরুণ দাম্পত্য পরিণত হয় শুধুমাত্র এক মামুলি নিয়মরক্ষার খেলায়।
মনে রাখুন সব সময়
নিজের মনের মধ্যে চেপে রাখা কষ্টগুলো গল্পচ্ছলে জানান আপনার স্বামীকে। আপনি ঠিক কীভাবে ওকে পেতে চান, বুঝিয়ে বলুন। ধীরে ধীরে আলোচনার মাধ্যমে নিজের মধ্যে দূরত্বটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করুণ।
০০ সাংসারিক চিন্তা-ভাবনা সবকিছু ভুলে গিয়ে দুজনে আগের মতো আড্ডা দিন।
০০ নিজেকে আরও ব্যস্ত করে তুলুন।
০০ পছন্দের কোনো ‘শখ’ আবার নতুন করে শুরু করতে পারেন। বাসায় বসে ছোটখাট হোম বেসড বিজনেস শুরু করতে পারেন।
নতুন ভাবনা
নিজের মনের ভিতরে একবার উঁকি দিয়ে দেখুন তো, সমস্যাটা সত্যি কোথায়। সত্যিই কী দোষ আছে আপনার স্বামীর, না আপনার মনের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভ সম্পর্জটা জটিল করে তুলেছে। অনেক সময় দেখা যায়, হেরে যাওয়া বা জনপ্রিয়তা হারানোর ভয় থেকেও জেলাসি জন্ম নেয়। নিজের কাছে সৎ থেকে। ভাবনাচিন্তা করলেই কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। ০০ স্বামীর সাফল্য ভাগ করে নিন। স্বামীর সাফল্যে যে আপনিও অংশীদার সেটা কখনোই ভুলে যাবেন না। দুজনে মিলে একসঙ্গে এনজয় করুন।
ষসিন ক্রিয়েট করবেন না কখনোই। আর ছেলেমেয়ের সামনে তো নয়ই। খুবই স্বাভাবিক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতানৈক্য হওয়া। কিন্তু তাই নিয়ে কটুক্তি করাটা কুরুচির পরিচয়। এর আশ্রয় নিয়ে আপনি স্বামী এবং সন্তানের চোখে অনেকটাই ছোট হয়ে যাবেন। ষএকটা আউটিং অ্যারেঞ্জ করুন স্বামীর সঙ্গে। বাচ্চাদের সঙ্গে না নেওয়াই ভালো। ঘুরে আসুন শুধু দুজনে।
সম্পাদনা/শাবানা মন্ডল /০২.১৮ঘ /২২ ফেব্রয়ারি