আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, ভোলা প্রতিনিধিঃভোলার ইলিশা ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ে অতি জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় ভোগান্তিতে পরেছেন যাত্রীরা। প্রতিদিন এই রুটে শত শত যাত্রী ও যানবাহন চলাচল করে। এই একটি মাত্র রুট দিয়ে ভোলা থেকে লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ ১৬টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। পানিতে ৩-৪ ঘন্টা গ্যাংওয়ে ডুবে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রুটে চলাচল করা যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের।
টানা বৃষ্টি, পূর্ণিমার প্রভাবে অতিজোয়ারে পানি বৃদ্ধি আর উত্তাল মেঘনার পানির চাপে কয়েক দিন ধরেই পানিতে নিমজ্জিত আছে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ে। হাইলেভেল ওয়াটার ঘাট না থাকায় অতিজোয়ারের পানিতে ৩-৪ ঘণ্টা ফেরীতে যানবাহন লোড-আনলোড বন্ধ থাকছে। এতে দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভোলা-লক্ষীপুর রুটে চলাচলকারী সি-ট্রাকের যাত্রীদের পন্টুনে নেমে নৌকায় করো মূল সড়কে আসতে হয়। বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের বেশী ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অনেক সময় এখানে হাটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি থাকে, যা দিয়ে পারাপার করার সময় যাত্রীদের ভিজে যেতে হচ্ছে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন ডিঙ্গি নৌকা ব্যবসায়ীরা তারা ফেরী ঘাটের পল্টুন থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত নৌকায় করে পর করছেন যাত্রীদের। আর এর জন্য যাত্রীদের নৌকা ভাড়া হিসেবে অতিরিক্ত ১০টাকা গুনতে হচ্ছে।
অন্যদিকে পণ্যবাহী যানবাহন ও যাত্রীবাহী গাড়ি ফেরী থেকে ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট যানবাহন পারাপারের সময় আটকে যাচ্ছে। অনেক সময় রোগী বহন কারী এ্যাম্বুলেন্সকেই আটকে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এ রুটে যাতায়াত করা যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ঘটছে এমন সমস্যা।
ফেরী ঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইব্লিউটিসির ম্যানেজার মোঃ আবু আলম জানান, মেঘনা নদীতে ক্রমেই পানির চাপ বাড়ছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোতে পানির চাপ আরও বেড়ে ফেরি ঘাটের এ্যাপ্রোচ সড়ক ডুবে যায়। বর্তমানে ফেরির জন্য লো-লেভেল ওয়াট ঘাট ব্যবহার করা হচ্ছে। পানিতে ঘাট তলিয়ে গেলে ৩-৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়ে। হাইলেভেল ওয়াটার ঘাট নির্মাণের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেয়ার পরও ওই ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ বলেন, ভোলা-লক্ষীপুর নৌপথের দুই পাড়ে দুটি হাই-ওয়াটার গ্যাংওয়ে স্থাপন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠিয়েছি। আশা করা যাচ্ছে, ঈদের আগে হাই-ওয়াটার গ্যাংওয়ে বসানোর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
জরুরিভিত্তিতে ওই হাইলেভেল ঘাট করা না হলে চলতি বর্ষায় ফেরি ঘাটে ভেড়ান যাবে না বলেও জানান ফেরির মাস্টাররা।
শুধু এবছরই নয় গত বছরের বর্ষা মৌসুমেও ভোগান্তী পোহাতে হয়েছে এরুটে চলাচল কারী যানবাহন ও যাত্রীদের। তাই ঈদের আগেই হাই লেভেল ওয়াটার ঘাট নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।