ডেস্ক রিপোটঃ বর্তমান সমাজে খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল সামগ্রী মেশানো একটি মহাব্যাধিতে রুপ নিয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যে ভেজাল মিশ্রন করে বাজারজাত করছে। নিরাপদ খাদ্য আবার খাদ্য নিরাপত্তার অপরির্হায অংশও বটে। তাই এটি নিশ্চিত করতে না পারলে সার্বিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
বর্তমানে শাকসবজি, মাছ-মাংস থেকে ফলমূল এমনকি শিশু খাদ্য, জুস, আইসক্রিম, ঔষধে ভেজাল ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্যের হুমকিতে পরিণত হয়েছে । ভেজাল খাদ্য গ্রহনের ফলে নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধি ও জীবনহানির ঘটনা ঘটে। তাই খাদ্য ভেজাল জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা । ভেজাল খাদ্যদ্রব্য দমন র্যাবের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও চলমান আভিযানিক কাজ।
অদ্য ০৬/০৭/১৫খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১২.০০ঘটিকায় র্যাব-২এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. মোঃ দিদারুল আলম এর নেতৃত্বে এবং বিএসটিআই এর ফিল্ড অফিসার মোঃ সাহিদুর ইসলাম এর উপস্থিতিতে, র্যাব-২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর পরিচালনায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই-এর অনুমোদন বিহীন অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম তৈরী করার সময় ১ লক্ষ ০৫ হাজার পিস আইসক্রিম জব্দ করে এবং ডানিশ আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর মালিক ১। মোঃ মজিবর রহমান(৪১), এবং তৃপ্তি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর মালিক ২। মোঃ আনোয়ার হোসেন(৩২), কে আটক করে।
কারখানার মালিকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ দুইটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে সেকারিন, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, কৃত্রিম সুগন্ধি, এ্যারারুট ও অপরিশোধিত পানি, বিএসটিআই এর লোগো বিহীন আইসক্রিম ও দুধ পন্য উৎপাদন বিক্রয় এবং বিতরন করেন। ব্যবহৃত এ সকল উপাদান মানব স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া কারখানাটির আশেপাশের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। কারখানার মালিকদের এর এরুপ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫ সংশোধনী ২০০৩ এর ২৪ ধারা মোতাবেক মোঃ মজিবর রহমানকে একলক্ষ টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারা মোতাবেক মোঃ আনোয়ার হোসেনকে একলক্ষ টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।