আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- মস্কো, ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। তবে মস্কো আগ বাড়িয়ে তা ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিন গত বুধবার রাশিয়ার মানবাধিকার কাউন্সিলের বার্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা পাগল হইনি। রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হলেই কেবল এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা জবাব দেয়া হবে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার নয় মাসেরও বেশি সময় পর পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া তার অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ করতে পারেনি। এ প্রেক্ষিতে আশংকা বাড়ছে যে, রাশিয়া তার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে না পেরে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
কিন্তু এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, আমরা পাগল হইনি। পরমাণু অস্ত্র কি সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।
তবে পারমাণবিক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার হুমকি দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘এই হুমকির বিষয়টি আড়াল করে রাখাটা ভুল হবে।’
তিনি বলেন, শত্রুর হামলার জবাব হিসেবেই কেবল আমরা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবো।
পুতিন বলেন, আমরা পরমাণু হামলার শিকার হলেই কেবল পাল্টা হামলা চালাব।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মস্কোর নীতি হলো তথাকথিত প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে পুতিন বলেন, ‘অন্য কোনো দেশে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা নেই। তবে তুরস্কসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
এদিকে পুতিনের বক্তব্যের দ্রুতই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নিড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা মনে করি পরমাণু অস্ত্র নিয়ে এই্ আলগা আলোচনা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন।
তিনি আরো বলেন, এটি বিপজ্জনক। এই বক্তব্য ¯œায়ু যুদ্ধের পরবর্তী পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধের মূল চেতনার পরিপন্থী। খবর বাসস।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, মস্কোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি কমেছে বলে তিনি মনে করেন। জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আপাতত একটা জিনিস বদলেছে। সেটি হলো রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি বন্ধ করেছে। এটা হয়েছে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার তার বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, বুধবার দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বিমান হামলায় ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।