অনলাইন ডেস্ক ,জি নিউজ ঃ- মুম্বাইয়ে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে ২০০২ সালে মামলা হয়েছিল সালমান খানের বিরুদ্ধে। সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে সোমবার। আর এ অপরাধ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এই বলিউড সুপারস্টারের। ২০০৫ সালে সালমানের বিরুদ্ধে বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়। কোনো এক অজানা কারণে তাঁর প্রতি নমনীয় আচরণ করেন আদালত। বলিউডে সালমানের যেমন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আছে, তেমনি আছে অসংযত জীবনযাপনের জন্য কুখ্যাতি। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে ঘটা দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়, আর আহত হয়েছিলেন ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা আরও চার ব্যক্তি। বরাবরই সালমানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না।বেপরোয়া ও অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেন আদালত, যার শাস্তি মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড। পরে ২০১১ সালে মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সালমানকে কঠোর সাজা প্রদানের দাবি তোলা হলে কয়েক মাস আগে ফের শুরু হয় মামলার বিচার কার্যক্রম । এরই মধ্যে ১৭ জন সাক্ষীর বক্তব্য শুনেছেন আদালত। তাদের সাক্ষ্য বিবেচনা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পরই এ রায় ঘোষণা করছেন আদালত। ইতিমধ্যেই সালমান আইনজীবির মাধ্যমে লিখিত ও মৌখিক আপিল করেছেন। পাবলিক প্রসিকিউটর শংকর এরান্দে সাল্লুর আপিলের বিরোধীতা করে বলেন, “অপরাধ প্রমাণিত, সালমানের সর্বোচ্চ সাজাই হওয়া উচিত । উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩০৪ (২) ধারায় সালমানের সাজা হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। গুরুতর এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। সম্প্রতি মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১০ জুন রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক ইউ বি হেজিব।