জি নিউজ ঃ- ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাদপড়া একদল শিক্ষার্থীর অবরোধে রাজধানীর শাহবাগে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। তারা বলছে, এই পদ্ধতির জন্য বেশি নম্বর পেয়েও তারা বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নির্বাচিত হতে পারেনি। বিক্ষুব্ধদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ‘বঞ্চিত শিক্ষার্থী’ ব্যানারে বিক্ষোভ করছে তারা। গতবুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে চার দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধের কারণে শাহবাগের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। যানজট ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর অন্য স্থানগুলোতেও। অবরোধের খবর শুনে শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল গত সোমবার প্রকাশিত হয়। এতে ২ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২ হাজার ৩৩ জন। আগে লিখিত পরীক্ষার পর কোটার ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলেও এবার প্রাথমিক বাছাইয়েই কোটার ভিত্তিতে ফল দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এর ফলে মেধাবী অনেকে প্রথমেই বাদ পড়েছে। তারা ফলাফল পুনমূল্যায়ন, কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি তুলেছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া মাহাবুব রহমান জানান এই বিসিএস (৩৪তম) সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেখানে ৭৬/৭৮ পেয়েও সুযোগ পাচ্ছেন না, সেখানে কোটাধারীরা ৬০/৬১পেয়েও সুযোগ পেয়েছে। আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অনেকেও রয়েছেন, যাদের জন্য কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। তাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম বলেন, “কোটার একটা সহনীয় মাত্রা থাকতে হবে।কোটাকে যেন এমন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া না হয়, যাতে জাতি মেধাশূন্য হয়। এদিকে প্রক্টর আমজাদ আলী দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগে যান। এছাড়া তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমার ছাত্রদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। পিএসসির কিছু ‘অতি উৎসাহী’ ব্যক্তি সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য কোটার ভিত্তিতে প্রিলিমিনারির ফল দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আমজাদ। কেউ ৮০ পেয়ে ফেল করবে, আর কেউ ৫০ পেয়ে পাস করবে, এই বৈষম্য চলতে পারে না।