অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ-দীর্ঘ ৪০ বছর পর আবারো চাঁদে নভোযান পাঠালো নাসা৷ শুক্রবার রাতেইভার্জিনিয়া থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়৷ লুনার অ্যাটমোসফয়ার অ্যান্ড ডাস্টএনভারনমেন্ট এক্সপ্লোরার বা এলএডিইই নামের যানটি নতুন করে চাঁদকে চিনতেসাহায্য করবে৷১৯৬৯, ১৯৭২ – এর পর দীর্ঘ বিরতি৷ মাঝে মহাকাশ অভিযানে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাজেট কাটছাঁট৷ এতকিছুর পরও বসে নেই নাসা৷এবার তারা আবারো চাঁদে নভোযান পাঠালো৷ সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়েছে, চাঁদের ভূখণ্ড আগে যেমনটা ভাবাহয়েছিল তার থেকে ভিন্ন৷ সম্প্রতি নাসার কিছু রোবটের তোলা ছবি থেকে এ ধারণাহয়েছে বিজ্ঞানীদের৷ নাসা জানায়, ২০০৯ সালে নাসার একটি উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে ওয়াটার আইস বা বরফের সন্ধান পাওয়া যায়৷ নাসার বিজ্ঞানী জন গ্রান্সফেল্ড জানালেন, তাঁদের ধারণা ছিল, চাঁদেরপৃষ্ঠটা বায়ুমণ্ডলহীন৷ আর এ কারণেই সেখানে আর অভিযান চালানোর পরিকল্পনাছিল না তাদের৷ পরে পাওয়া ছবিগুলো থেকে তারা আবিষ্কার করলেন চাঁদ আসলেবৈজ্ঞানিকভাবেই বেশ জীবিত, এটা এখনও বিকশিত হচ্ছে এবং এর বায়ুমণ্ডলও রয়েছে৷ তিনি জানালেন, চাঁদের বায়ুমণ্ডল এতটাই পাতলা যে এর কণিকাগুলোর মাঝে কোনসংঘর্ষ হয়না৷ এই স্তরটাকে বলা হয় এক্সসফেয়ার৷ নতুন অভিযানের কাজ হবেপৃথিবীর কক্ষপথে গিয়ে চাঁদকে একমাস ধরে ২৫০ কিলোমিটার দূর থেকে প্রদক্ষিণকরা এবং এরপর লেজার রশ্মি ও তিনটি যন্ত্রের সাহায্যে চাঁদের বায়ুমণ্ডলেরতথ্য সংগ্রহ করা৷ উৎক্ষেপণের পর কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ গেখা গেলেও নাসাজানিয়েছে, দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে যাবে বলেতাদের আশা৷ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মীর সাহায্যে চাঁদের ধূলিকনা বিদ্যুতায়িত হয় কিনাআর এ কারণেই কি সূর্য উদয়ের আগে বর্ণিল আলোকচ্ছটা দেখা দেয় – এপ্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই এবারের চন্দ্র অভিযান৷ সাম্প্রতিক এই অভিযানের পর নভোচারী পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নাসার নেই৷কেবল ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ এপিবি/এসবি(এএফপি) এ খবর DW.DE