জিনিউজ-
যশোর: বেনাপোলের পুটখালীর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মালামাল অবাধে পাচার হয়ে আসছে বাংলাদেশে। ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আনার বৈধ অনুমতি থাকায় ভারত থেকে গরু পারাপারের নামে এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অস্ত্র গোলাবারুদ হেরোইন ও ফেনসিডিল আসছে অবাধে। অস্ত্র চোরাচালানের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বশীল কতিপয় ঘাট মালিক প্রধানসহ ৬০/৭০ জনের একটি শক্তিশালী দল। এই বিশাল চোরাচালানী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার গরু এদেশে আসছে পাচার হয়ে। প্রতিটি গরু ভ্যাট প্রদান করা হয় ৫শ টাকা হারে। প্রতিদিন সহশ্রাধিক গরু আসলেও ভ্যাটের টাকা জমা হয় অর্ধেকের কম।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুটখালি ঘাট দিয়ে কোটি কোটি টাকার চোরাচালানী পন্য পাচার হয়ে দেশে আসছে। ভারত থেকে সরাসরি চোরচালানী পণ্যবোঝাই ট্রাক পুটখালি ঘাটে ভিড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে ট্রাকে অথবা ট্যাম্পুতে করে জামতলা ও বাগআচড়া দিয়ে হয়ে যশোর হয়ে ঢাকায় চলে যাচ্ছে। অস্ত্র গোলাবারুদ, হেরোইন, ফেনসিডিল অবৈধ পারাপার ইমেটেশন, কাচামাল গামেন্টস সামগ্রীসহ প্রত্যেকটি অবৈধ পন্যের জন্য পৃথক পৃথক সিন্ডিকেট সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। চোরাচালানীদের সাথে বিজিবি সদস্যরা প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। দৈনিক ও সাপ্তাহিক চুক্তির কারনে অবাধ চোরাচালান হচ্ছে এই সীমান্ত দিয়ে। ফলে সিন্ডিকেট সদস্যরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সীমান্তের পুটখালী, দৌলতপুর, ভুলট, রুদ্রপুর ও কায়বা সীমান্ত একাধিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিজিরি সদস্যরা এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
তাছাড়া প্রত্যেকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলার একমাত্র গরু হাট সাতমাইল বাজারে প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার হাটের দিন ভারত থেকে শতাধিক হুন্ডি, অস্ত্র ও হেরোইন ব্যবসায়ীরা তাদের পন্য বিক্রয়ের পাওনা আদায়ের জন্য আসে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় ভারতীয়রা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য স্থানীয় সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এদেশে প্রবেশ করে থাকে। উক্ত সীমান্তের অন্তত ৪০টি সক্রিয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চোরাচালানী চলছে উন্মুক্ত ভাবে। যে কারনে বাংলাদেশ স্থল বন্দর বেনাপোল কাষ্টমসের রাজস্ব আয়ে এ বছর বড় ধরনের ক্ষতি দেখা দিয়েছে। তাছাড়া চোরাচালানী অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আয় মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেন কাষ্টমের ঝামেলা এড়াতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার পন্য অবৈধ ভাবে দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে আসছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিজিবি সদস্য নেতৃত্বে স্থানীয় সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে। এ ব্যাপারে পুটখালী ২৩ বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার আলমঙ্গীর হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরাচালানী পূর্বের চাইতে বহুলাংসে হ্রাস পেয়েছে, গরু আসে ভ্যাট এর চালান দেখালে গরু ছেড়ে দেয়া হয়।