জি নিউজ বিডি ডট নেটঃ- রাজধানীর শাহবাগে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় গুরুতরঅগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৯ যাত্রী। গতকাল সন্ধ্যায় মৎস্য ভবনের সামনে সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের চলন্ত বাসে একটি পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের টানা অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা দিকে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে সাংবাদিক, আইনজীবী, পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ীসহ ১৯ যাত্রী জীবন্ত দগ্ধ হন। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলন্ত অবস্থায় বাসটিতে কে বা কারা পেট্রল বোমা ছুড়ে মারে। এতে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে:- জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরীন (৪৩), রূপালী ব্যাংকের শ্যামবাজার শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার (২৫), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখার কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম (৩৭), একুশে টেলিভিশনের ছোটদের সংবাদ ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মুক্তখবর’র প্রতিবেদক সুস্মিতা সেন (১৭), তার মা গীতা সেন (৪৫), বাসচলক মাহবুব (২৫), হেলপার হাফিজুল ইসলাম (২২), রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এক নম্বর কোম্পানিতে কর্মরত এএসআই নুরুন্নবী (৪২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ওয়াহিদুর রহমান বাবু, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, সবজি ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (৪২), চাকরিজীবী শামীম, রিয়াদ (২২), নাহিদ (১৮), রাহাজুল (২৮), আবু তালহা, আব্দুর রাজ্জাক ও রবিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বাসটি মিরপুরের দিকে যাচ্ছিল। মৎস্য ভবনের কাছে আসা মাত্র বাসের পেছনে আগুন দেখতে পান তারা। বাসের চালক জ্বলন্ত অবস্থাতেই বাস চালিয়ে রমনা পার্কের গেট পর্যন্ত যান। আগুন আতঙ্কে অনেকে চলন্ত অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তড়িঘড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া বাসের মধ্যে যারা ছিলেন তারা কম-বেশি সবাই দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজন নারী। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বিভাগে গিয়ে দেখা যায় কারও হাত, পা, মাথাসহ পুড়ে গেছে শরীরের বেশির ভাগ অংশ। রাতে বাসে আগুন দেয়ার খবর শুনে বার্ন ইউনিট জরুরি বিভাগে ছুটে আসেন শ’ শ’ মানুষ। আহতদের মধ্যে অনেকেই খুঁজতে থাকেন তার স্বজনকে। হাসপাতাল করিডোরে জনতার স্রোত ঠেকাতে বেকায়দায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত মানুষের ভিড় ঠেকাতে পুলিশ ও র্যাব দায়িত্ব পালন করেন।এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু রাতে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান । তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের জঘন্য কাজ কোন রাজনৈতিক দল করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি । তাঃ-২৯ নভেম্বর ২০১৩