অনলাইন ডেস্ক ঃ-সুদানের সামরিক বাহিনীর দুটি অংশের মধ্যে সংঘর্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, অভ্যুত্থানের চেষ্টার কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে৷ দক্ষিণ সুদানের রাজধানী যুবায় সামরিক বাহিনীর দুটি অংশের মধ্যে রবিবার ভয়ংকর সংঘর্ষ শুরু হয়৷ শহরের সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দে ঘর থেকে বেরোনোর সাহস পাননি৷ মঙ্গলবার থেকে যুবার পথে খুব কম হলেও কিছু পথচারী দেখা যাচ্ছে৷ তবে পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি৷ প্রেসিডেন্ট সালভা কির সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন৷ তাতে তিনি বলেন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের অনুগতরা অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করেছিল৷ সে কারণেই মাত্র দু বছর আগে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়া দক্ষিণ সুদানে এমন সংঘর্ষ হয়েছে৷ মাচারকে গত জুলাইয়ে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷ তারপর থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ৷ সোমবারের ভাষণে সালভা কির আরো জানান, অভ্যুত্থান প্রয়াসে জড়িত সন্দেহে দশজন সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ রিক মাচার বলেছেন, দক্ষিণ সুদানে কোনো অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়নি৷ তাঁর মতে, সংঘর্ষ হয়েছে সামরিক বাহিনীর দুটি গ্রুপের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে৷ তিনি মনে করেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার অজুহাত দাঁড় করাতেই অভ্যুত্থান প্রয়াসের কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট সালভা কির৷ সংঘর্ষে ঠিক কতজন মারা গেছেন তা এখনো জানা যায়নি৷ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের প্রধান হার্ভ লাডসাউস নিরাপত্তা পরিষদকে ৪০০ থেকে ৫০০ নিহত হওয়ার তথ্য জানান৷ আহত হয়েছে কমপক্ষে আটশ জন৷ রাজধানী যুবার দুটি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে৷ রেডক্রস জানিয়েছে, অনেকের জখম খুব গুরুতর৷ এত লোকের চিকিৎসা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা৷ এদিকে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকে৷ জাতিসংঘ শিবিরে এ পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে৷খবর DW DE এর