জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- আজ হতে ১৩১৮ চন্দ্রবছর আগে ১১৭ হিজরির এই দিনে হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র কন্যা হযরত সাকিনা (সালামুল্লাহি আলাইহা) নিজ শহর মদীনায় ইন্তিকাল করেন।
এ সময় এই মহিয়সী নারীর বয়স হয়েছিল ৭০’এরও বেশি। সে সময় তাঁর ভাগিনা ইমাম মুহাম্মাদ বাক্বির (আ.)’র পুত্র ও উত্তরাধিকারী ইমাম জাফর আস সাদিক্ব (আ.)’র ইমামত চলছিল। [ অন্য কথায় ইমাম সাদিক্ব (আ.) ছিলেন হযরত সাকিনা (সা. আ.)’র ভাই ইমাম জয়নুল আবেদিন (আ.)’র নাতি।]
হযরত সাকিনা (সা. আ.) কারবালার ট্র্যাজেডির সময় উপস্থিত ছিলেন। ওই মহাবিয়োগান্তক ঘটনায় শাহাদত বরণ করেছিলেন তাঁর বাবা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.), দুই ভাই হযরত আলী আকবর (আ.) ও ৬ মাসের শিশু হযরত আলী আসগর (আ.) এবং ফোরাত নদী থেকে নবী পরিবারের শিশুদের জন্য পানি আনতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন তাঁর চাচা মহাবীর হযরত আব্বাস ইবনে আবি তালিব (আ.)।
কারবালার ঘটনার সময় হযরত সাকিনা (সা. আ.)’র বয়স ছিল ১২ বা ১৫। তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তার চাচাতো ভাই তথা ইমাম হাসান (আ.)’র বড় ছেলে আবদুল্লাহ ইবনে হাসান (আ.)’র সঙ্গে। ইনি কারবালায় শাহাদত বরণ করেছিলেন। তাঁর ছোট ভাই হযরত কাসিম ইবনে হাসান (আ.)ও তরুণ বয়সে শহীদ হয়েছিলেন কারবালায়।
যাই হোক কারবালার ঘটনার পর হযরত সাকিনা (সা. আ.) নবী পরিবারের অন্যান্য সদস্য ফুপি হযরত যেইনাব (সা. আ.), হযরত উম্মে কুলসুম এবং অন্যদের সঙ্গে তিনিও বন্দী হয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। বন্দী হয়েছিলেন তাঁর বোন তথা ইমাম হুসাইনের (আ.) কন্যা হযরত ফাতিমা (সা.আ.) ও চার বছর বয়স্ক বোন হযরত রুকাইয়া (সা.আ.)। হযরত রুকাইয়া (সা.আ.) নৃশংসভাবে শাহাদত বরণ করেছিলেন দামেস্কে ইয়াজিদের অত্যাচারে।
হযরত সাকিনা (সা. আ.) দামেস্ক থেকে মদীনায় ফিরে গিয়ে ইবাদত-বন্দেগী ও নামাজ-রোজার সাধনায় নিমজ্জিত হয়েছিলেন এবং কাউকে বিয়ে করতে রাজি হননি। (অবশ্য কোনো কোনো বর্ণনা মতে তিনি আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এইসব বর্ণনা কতটা নির্ভরযোগ্য তা স্পষ্ট নয়।)
উল্লেখ্য, এই একই বছরে (১১৭ হিজরিতে) মদীনায় ইন্তিকাল করেন হযরত সাকিনা (সা. আ.)’র ছোট বোন হযরত ফাতিমা (সা.আ.)। এই ফাতিমা (সা.আ.) ছিলেন ইমাম হাসান (আ.)’র পুত্র হযরত হাসান আল মুসান্না (আ.)’র স্ত্রী। হাসান আল মুসান্না কারবালার অসম যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত হয়েও বেঁচে যান।
এই ফাতিমা (সা.আ.) ছিলেন তাবাতাবায়ি সৈয়দ বংশের হাসানি শাখার প্রথম ব্যক্তিত্ব। তাবাতাবায়ি সৈয়দরা একদিকে ইমাম হাসান (আ.)’র এবং অন্যদিকে একইসঙ্গে ইমাম হুসাইন (আ.)’রও বংশধর।খবর রেডিও তেহরানর #