অনলাইন ডেস্ক :- সবসময়ই রেগে থাকেন, এমন ধরণের লোকের দেখা এই দুনিয়ায় প্রায়ই পাওয়া যায়। আর হুট করেই অনেক রেগে যান, এমন লোকের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে যেসব কারণে তার মধ্যে রাগ অন্যতম। রাগ মুহূর্তেই বাড়িয়ে দিতে পারে দু’বন্ধুর মধ্যকার দূরত্ব। হঠাৎ করেই আপনাকে একা করে দিয়ে হারিয়ে যেতে পারে আপনার কাছের মানুষগুলো। আর তাই এই রাগকে রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। অযথা রাগ না করে ঠান্ডা মাথায় ভাবলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায় খুব সহজেই।
* নিজেকে শান্ত করতে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসুন। চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিন। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। যদি কাজের ওপর বিরক্ত বোধ হয়, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ রাখুন। বিরতি নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করুন।
* চোখ বন্ধ করে ভাবুন পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। স্মৃতির দরজা খুলে আপনার পছন্দের সময় ও জায়গাগুলো থেকে ঘুরে আসুন।
* আয়নায় নিজেকে দেখুন। রেগে যাওয়া আপনি আর হাস্যোজ্জ্বল আপনি থেকে নিজের তফাত বের করতে চেষ্টা করুন।
* ঠাণ্ডা পানিতে গোসল সেরে নিন। অস্থিরতা নিমিষেই মিলিয়ে যাবে।
* রাগ উঠলে এক থেকে দশ পর্যন্ত উল্টো করে গুনতে পারেন, তাহলে মস্তিস্ককে কিছুটা অন্যদিকে ব্যস্ত রাখা যাবে।
* হুট করে কোনো কথা বা কাজ করে বসবেন না, সময় নিন, প্রয়োজন হলে সেই মানুষটার সাথে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ রাখুন অথবা রাগের কারণটি থেকে নিজের মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিন।
* যখন আপনি শান্ত হয়ে গেলেন, এবার আপনার রাগের কারণগুলো তার সামনে তুলে ধরুন, ততক্ষণে অপরজনের মাথাও ঠান্ডা হয়ে যাবে, সে ভালোভাবে আপনার কথা বুঝতে পারবে।
* নিজেই ভাবুন। আপনি কেন রাগ করছেন? তা কতটা যুক্তিসংগত? এর বাস্তব ভিত্তি কতখানি? আপনি কতক্ষণ নিজের মধ্যে তা ধরে রাখবেন? এর ফলাফল আপনার জন্য কতটা ভালো?
* কারো কথায় রেগে গেলে উত্তেজিত হবেন না। ধৈর্য ধরে তার কথা শুনুন। যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়, তাহলে তাকে বুঝিয়ে বলুন।
* যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও প্রার্থনা করুন। মনে প্রশান্তি ফিরে আসবে।
* রাগ মনে পুষে রাখবেন না। প্রকাশ করুন। রাগের মাথায় যদি কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফেলেন, তাহলে পরে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিন।
* প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে শুধরে নিন।
* হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত থাকুন।
* এক্সারসাইজ করতে পারেন, হাঁটাহাঁটি অথবা ওয়েট লিফটিং করতে পারেন।
* নিজেকে নিয়ে বেশি হিসাব করতে গেলে রাগ আরও বাড়বে তাই, তাত্ক্ষণিক ব্যাপারটা মেনে নিলে সমস্যা অনেকটা কমে যায়।
* টেনশনে সিগারেট জাতীয় কিছু খাওয়া ঠিক না, তাতে মনটা আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
* টেনশন কমানোর জন্য খানিকটা হাসি ঠাট্টা করা যেতে পারে, তাতে মনটা হালকা হয়ে যায়। সূত্র : ইন্টারনেট