অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতি, ¯স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে কলেজ গভর্নিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে ভুক্তভোগী প্রভাষিকা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগেসূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজে এইচএসসি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিভাগের ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ বিষয়ে নিয়োগের সার্কুলার হবার পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে ২০১০ সালের ২০ মার্চ অত্র কলেজে যোগদান করেন মাধবীলতা বাড়ৈ। মাধবীর নিয়োগের সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন সরদার তার কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এমপিওভুক্ত না হওয়া সত্বেও গত চারবছর কলেজ থেকে মাত্র দু’হাজার টাকা সম্মাণী পেয়ে ভবিষ্যতে পূর্ণ নিয়োগের আশায় নিয়মিত ক্লাশ নিচ্ছেন। মাধবীর সাথে যোগদান করা অন্যান্য শিক্ষকদের এমপিও হয়ে আসলেও গত চারবছরে তিনি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে কয়েকদফা জানানো হয়। তিনি মন্ত্রণালয়ে এমপিওভুক্তি করানোর কথা বলে তিন দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন মাধবীর কাছ থেকে। গভর্নিং বডির কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার করে হেমায়েত কর্মরত মাধবীর পদ শূণ্য দেখিয়ে ওই পদের বিপরীতে গত ২৬ অক্টোবর সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আহŸাণ করেন। কলেজের সহকর্মীদের কাছ থেকে তার পদে বিজ্ঞপ্তি আহŸাণের ঘটনা জানতে গেলে অধ্যক্ষ রাগাšি^ত হয়ে গালাগাল দিয়ে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এব্যাপারে কলেজ গভর্নিং কমিটি সদস্য সরদার হারুন রানাসহ একাধিক সদস্য জানান, কমিটির কোন সিদ্ধান্ত ছিলনা ২৬ অক্টোবর ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের। তারা আরও জানান, গত একবছর আগে ‘অধ্যক্ষের শূণ্য পদে’ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি আহবানের রেজুলেশন করা হলেও হেমায়েত উদ্দিন সেই বিজ্ঞপ্তি আহবান করেননি। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।