কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ আর দশটা ¯^াস্থ্য সবল বলবান শিশুর মতো নয় শাহিনা খাতুন। তার ইচ্ছা শক্তিই হার মানিয়েছে সকল প্রতিবন্ধকতার। অদম্য ইচ্ছা শক্তি লেখাপড়ার সাহস যুগিয়েছে তাকে। শাহিনা খাতুন গতবার প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনি পরি¶ায় অংশগ্রহন করেছে অন্যান্য ¯^াভাবিক শিশুদের মতো। ¯^াভাবিক শিশুদের শরীরের সকল অঙ্গপ্রতঙ্গ থাকলেও শাহিনা খাতুনের দুই হাতের মধ্যে ডান হাত একেবারেই নেই বাম হাত কুনুই পর্যš— সমাপ্ত। বৃদ্ধিগত ভাবেও রয়েছে প্রতিবন্ধকতা ¯^াভাবিক ভাবে তার বৃদ্ধি ঘটেনি। বয়সের তুলনায় তার শাররীক উচ্চতা একেবারেই কম। ১৩ বছরের শাহিনা খাতুন কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার মমিনগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার ৬ ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। পরী¶া কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বাম হাতের অংশ বিশেষ ও মুখের সাহায্যে উত্তর পত্রে উত্তর লিখছে। কথা বলে জানা যায় জন্ম থেকেই তার হাত নেই কিন্তু সকলকে লেখা পড়া করতে দেখে তারও লেখা পড়ার ইচ্ছা জাগে তাই অনেক বলে কয়ে মমিনগঞ্জ মাদ্রাসায় নিজের নাম লেখায়। সেই থেকে থেমে থাকেনি সে, দিন রাত চেষ্টা করে লেখার অনুশিলন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে তার আজকের পরী¶ায় অংশগ্রহণ। কচাকাটা থানার বলভের খাষ ইউনিয়নের গাবতলা মৌজার হিজবুললা পাড়া গ্রামের দিনমুজুর শাহাদৎ হোসেনের বড় মেয়ে শাহিনা খাতুন। ৫ ভাই বোনের সংসারে সেই প্রতিবন্ধি। সামান্য চাষের জমি থাকলেও তা হারিয়ে গেছে দুধকুমর নদীর করাল গ্রাসে। তাই তার লেখাপড়া ও সংসার চলছে মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে। এ পর্যš— সরকারী কোন সহযোগিতা সে পায়নি, এমন কি কোন সুহৃদ ব্যাক্তি এগিয়ে আসেনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। উক্ত মাদ্রাসার শি¶ক তার সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সরকারের উর্ধতন কর্তৃপ¶ের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
কচাকাটা/ মনির“ল ইসলাম মিলন/জি নিউজ