অনলাইন ডেস্কঃ- একাকী নারীদের জন্য এ উপমহাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই নাজুক। শহর কিংবা গ্রাম, উভয় স্থানেই এখন নারীদের আর বসে থাকা যাচ্ছে না, জীবিকার প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারীর নিরাপত্তার জন্য নানা হুমকি। এক প্রতিবেদনে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে কীভাবে নারীরা এ অবস্থায় নিরাপদে থাকতে পারে সে বিষয়ে আটটি পরামর্শ। ১/ থাকার জন্য নিরাপদ একটি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে বের করুন। বিচ্ছিন্ন বাড়ির তুলনায় কোনো নিরাপদ স্থানে বা হাউজিং সোসাইটির মতো স্থানে বাড়ি ভাড়া নিতে পারলে ভালো হয়। খরচের চিন্তার আগে নিরাপত্তাটা এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল বিষয়গুলো দেখে নিন। বাড়ি নেওয়ার আগে প্রতিবেশীদের সম্পর্কে খবর নিয়ে নিন। বাড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আশপাশের রাস্তাঘাটের নিরাপত্তা দেখে নিন। এছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট হলে তাতে নিরাপত্তা প্রহরী আছে কি না, সিসিটিভি আছে কি না, এবং সেখানে ভিজিটরদের তালিকা সংরক্ষণ করা হয় কি না দেখে নিন। এ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা যত বেশি থাকবে ততো ভালো।২/অফিসের কাজে যদি কোনো নতুন স্থানে যেতে হয় তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আদায় করে নিন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সবকিছুর দায়িত্ব নেবে এমন স্থানীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভ্রমণকালীন সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ভালো। এছাড়া স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ফোন নম্বর সংগ্রহে রাখতে ভুলবেন না। ৩/বাড়িতে থাকার সময় দরজা অবশ্যই ভালোভাবে লাগিয়ে রাখবেন। রাতে ব্যালকনির দরজা বন্ধ রাখবেন না। খাবার কেনা, দুধের দাম দেওয়া ও অন্যান্য বিল মেটানোর সময় দরজা ছেড়ে বাইরে যাবেন না। বাইরের অপরিচিত লোকজনকে ভেতরে ঢুকাবেন না, বিশেষ করে আপনি যখন একা তখন তো নয়ই। বাড়িতে একটি অ্যালার্ম সিস্টেম স্থাপন করতে পারেন। দরজা খোলার আগে কিহোল দিয়ে বাইরের মানুষকে দেখে নিন। অপরিচিত মানুষ হলে দ্বীধা না করেই বলুন, দরজা খুলতে আপনার অপারগতার কথা। ৪/ পোশাক সম্বন্ধে সাবধান। বিপজ্জনক এলাকায় রক্ষণশীল পোশাক গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি হেলাফেলা করার উপায় নেই।৫. আত্মরক্ষার কৌশল অবশ্যই শিখে নেবেন। আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্ট খুব ভাল কাজ করে। এছাড়া ইন্টারনেটে আত্মরক্ষার কৌশলগুলো দেখে নিতে পারেন। শত্রুর অন্যতম দুর্বল স্থান চোখ। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সেখানে জোরে আঘাত আপনাকে বাঁচাতে পারে। ৬/আপনার মোবাইল ফোন স্মার্টভাবে ব্যবহার করুন। স্পিড ডায়ালে পরিবার ও বন্ধুদের ফোন নম্বর সংরক্ষণ করুন। এতে সংক্ষিপ্ত বাটন চেপেও দ্রুত ফোন করা যায়। প্রয়োজনের সময় মোবাইল ফোনের চার্জ যেন কখনো শেষ না হয়, সে ব্যবস্থা করুন। এছাড়া হেল্পলাইন, পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর সঙ্গে রাখুন। স্মার্টফোনের কিছু নিরাপত্তা অ্যাপ পাওয়া যায়। এগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারেন।৭. শরীরের ভাষা গুরুত্বপূর্ণ। কখনোই নার্ভাস ভাব প্রকাশ করবেন না এবং আপনার মাথা একেবারে নিচু করে হাঁটবেন না।৮/ পিপার স্প্রে সঙ্গে রাখুন। এছাড়া তার বিকল্প হিসেবে মরিচের গুড়ো রাখতে পারেন। আক্রান্ত হলে তা হঠাৎ করে শত্রুর চোখে নিক্ষেপ করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।এ পয়েন্টগুলো ছাড়াও আপনার নিজস্ব বিচারবুদ্ধি ও অন্য অপরাধের হার বিবেচনা করে নিজের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। সূত্র-ইন্টারনেট।