মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী ঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলাকে সর্বান্তক ভাবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এবং আইন শৃংক্ষলা উন্নয়নের দৃঢ প্রত্যয় নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করছেন ওসি এ,কে,এম, ফসিহুর রহমান। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, ন্যয় ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর সফল কৃষি মন্ত্রী বাংলার অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুলীর নির্বাচনী এলাকা নকলা থানায় দায়িত্ব পালনের পর গত ৭এপ্রিল/১৪ইং তারিখে অত্র থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি ঝিনাইগাতী থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর পরই পুরো উপজেলার আইন-শৃংক্ষলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে শেরপুরের সৎ, ক্লিনম্যান ইমেজের অধিকারী হিসেবে খ্যাত পুলিশ সুপার মেহেদুল করিমের দিক নির্দেশনায় এক সময়ের অপরাধ জোন হিসেবে পরিচিত ঝিনাইগাতী থেকে সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য তিনি গ্রহণ করেছেন নানা ধরনের প্রসংশনীয় উদ্যেগ। ফলে ঝিনাইগাতীতে পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে অপরাধ মূলক নানান কর্মকান্ড। তিনি এ থানায় যোগদানের পর বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রেকর্ড সংখ্যক আসামীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছেন। গত ৬ মে এই প্রথম ঝিনাইগাতী থানায় বিভিন্ন মালায় এক রাতে ১৯ আসামীকে গ্রেফতার করা। বাকাকুড়া গ্রামের ত্রাস সৃষ্টিকারী আলী চোরা, যার আতংকে আদিবাসী সম্প্রদায় সহ পুরো এলাকাবাসী জিম্মি ছিলো, যার ভয়ে কৃষকরা তাদের গোয়ালের গরু পর্যন্ত শান্তিতে রাখতে পারতোনা, থাকতো না বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার, আন্তঃ জেলা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের গ্যাং লিডার কুখ্যাত আলী চোরা, যার বিরুদ্ধে ছিল ঝিনাইগাতী থানায় খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ৬টি মামলা, দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং দুইটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকৃত আসামী সেই আলী চোরাকে ১৭ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের তাজা গুলিসহ ওসি এ,কে,এম, ফসিহুর রহমান নিজে অভিযান চালিয়ে আলী চোর সহ ৬ আন্তঃ ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেফতার করা একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। ইতিপূর্বে কোন ওসিই আলী চোরার স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে পারেননি কিন্তু তিনি তাকেও গ্রেফতার করে এলাকাবাসীর মাঝে শান্তি ফিরে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ইউসুফ হারুন এ প্রতিনিধিকে জানান, ওসি এ,কে,এম, ফসিহুর রহমান কুখ্যাত আলী চোরাগংদের গ্রেফতার করে একজন দক্ষ ও যোগ্য পুলিশ অফিসারের পরিচয় দিয়েছেন, যাহা এ বাকাকুড়াবাসী আজীবন মনে রাখবে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কিছুদিন আগেও মদ,গাজাঁ, হেরোইন সেকনকারীদের বিচরন লক্ষ্য করা গেলেও নবাগত এ ওসি’র সাড়াশী অভিযানের কারণে সেসব সেবনকারীরা গ্রেফতারের ভয়ে অনেকটা ভাল হওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশের সাড়াশী অভিযানের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার খ্যাত জোয়াড়ীদের জোয়া খেলা। দীর্ঘদিন পরে হলেও সহকারী পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এই ওসি’র নেতৃত্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে উপজেলার আইন-শৃংক্ষলাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউজ ডে। তার বিচক্ষণ কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ঝিনাইগাতী থেকে মাদক নির্মূলে শতভাগ সফল হয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি। তার প্রশাসনিক দক্ষতার কারনে নিরীহ ও নিরপরাধ লোকদের আইনগত হয়রানীও কমে গেছে অনেকাংশে। জটিল কোন মামলা ছাড়া বেশীর ভাগ আনিত অভিযোগের রিপোর্ট তিনি কোর্টে না পাঠিয়ে থানাতেই তিনি তার অফিসারদের দ্বারা মিমাংশা করিয়ে দেন। এরকম নজির ইতিমধ্যে চখে পড়ার মতো। এলাকার সুশীল সমাজ মনে করেন, অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী থানাকে অপরাধ মুক্ত রাখতে এ,কে,এম, ফসিহুর রহমানের মতো দক্ষ, যোগ্য ও কর্মট পুলিশ অফিসার সকল সময়ের জন্য প্রয়োজন।