অনলাইন ডেক্সঃ- মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় কিশোরগঞ্জে শামীম (২২) নামে এক অটোরিকশা চালককে হাত-পা ও চোখ বেঁধে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের আমারিশিপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার শরীরে আগুন দেয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। শামীম আমারিশিপুর গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন জাহাঙ্গীর মিয়ার একমাত্র ছেলে।
কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মনোজ কুমার জানান, শামীমের চোখ-মুখসহ সারা শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। মুমূর্ষু অবস্থায় এখানে আনায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় এ হাসপাতালেই ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
নিহতের চাচা আব্দুল করিম জানান, গ্রামের নেশাগ্রস্ত কয়েকজন যুবককে শামীম তার বাড়ির সামনে নেশা করতে বাধা দেয়ায় তাদের সঙ্গে আগে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার তাদের কয়েকজনের সঙ্গে শামীমের হাতাহাতিও হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদিন অটোরিকশা চালিয়ে রাতে বাড়ি ফেরার পর তার ঘরের বারান্দায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আলামীন, রানা, তৌফিক, শফিক, জনিসহ আরও কয়েকজনকে গাঁজা সেবন করতে দেখে শামীম। এ সময় তাদের গাঁজা সেবন করতে নিষেধ করলে তারা চোখ বেঁধে তাকে বাড়ির পাশে ফিশারির পাড়ে নিয়ে যায়। ওখানে তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শামীম বাঁচতে গিয়ে ফিশারির পানিতে ঝাঁপ দেয়। তার ডাক শুনে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।খবরঃ রেডিও তেহরান, সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১টার দিকে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকায় শামীমের মৃত্যু হয়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, তার কোনো আত্মীয়-স্বজন থানায় অভিযোগ না করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছে। অপরাধীদের ধরতে রাত থেকেই এলাকায় পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।