গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃসন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকিতে গাইবান্ধার ক‚পতলা এখন আতংকিত জনপদ। সন্ত্রাসীদের ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই সপরিবারে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এর পাশাপাশি সর্বস্তরের সাধারণ মানুষও ভীত-সন্ত্রন্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। ক‚পতলা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তারা হামলা ঠেকাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের মারপিটে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানের স্ত্রী আয়েশা ইয়াসমিন চম্পার কাছে প্রায় প্রতিদিন চাঁদার দাবি করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাঁর স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্র জানায়, ভোট দিতে না যাওয়ার অপরাধে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা বাজারের হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজার সংলগ্ন বসতবাড়িতে ৬ জানুয়ারি সোমবার রাতে হামলা-ভাংচুর চালায় রওশন আলম, খোকন, জাহাঙ্গীর, সাইফুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, আলমগীর, শামসুল হক মাস্টারসহ কুপতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কথিত ক্যাডাররা। এ সময় হিন্দু পরিবারের নারীদের সাথেও অশালীন আচরণ করে ক্যাডাররা। এতে ননী গোপাল কর্মকার ও নরেশ চন্দ্র কর্মকারসহ ৬ব্যক্তি আহত হয়।
পুলিশ, আক্রান্ত পরিবার ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, ‘কেন্দ্রে ভোট দিতে না যাওয়ার অপরাধে’ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কথিত ক্যাডাররা এই হামলা চালায়। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক‚পতলা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তারা ও তার লোকজন হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তাদেরকেও বেদম মারপিট করা হয়। এতে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তারা মারাত্মক জখম হন। এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারী ক্যাডাররা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও বিএনপি সমর্থক সাধারণ মানুষকেও বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ-শামস-উল আলম হীরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ বকসি সূর্য হিন্দুদের উপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে হামলা-অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে।