রংপৃর প্রতিনিধি: লিচুর রাজধানী হিসেবে খ্যাত রংপুর অঞ্চল লিচুর মুকুলে ভরে গেছে হাজার হাজার বাগান। লিচরু মুকুলের মুহুমুহু গন্ধে সুভাষিত হয়ে উঠেছে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে হাজার হাজার লিচু চাষী। চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলায় ১২ হাজার ৪শ ২০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। আর এ থেকে চলতি মৌসুমে ৫শ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা করছে কৃষি বিভাগ।
গতকাল সরেজমিন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লিচু প্রধান এলাকা খ্যাত বালারহাট, দূর্গাপুর, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ, চিরির বন্দর, বিরল ও ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লিচুর মুকুল পরিচর্যায় ব্যসত্ম সময় কাটাচ্ছে লিচু চাষীরা। গাছে গাছে সার-কিটনাশক দেওয়া ছাড়াও গাছের গোড়ায় পানি দিতে যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের লিচু চাষী রুবেল মিয়া জানান, লিচু গাছের লালুক পাতা আসা শুরম্ন হলেই বাগান বিক্রি শুরম্ন হয়। এর পর মুকুল বিক্রি থেকে শুরম্ন হয়ে ভোক্তা পর্যনত্ম প্রায় ৬/৭ বার হাত বদল হয় লিচু বাগানের। তিনি আরও জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লিচুর ব্যাপরীরা এখন থেকেই রংপুর ও দিনাজপুরে এসে লিচুর বাগান কেনা শুরম্ন করেছেন। সফল লিচু চাষী হিসেবে বিভিন্ন সম্মাননা পাওয়া লিচু চাষী আবু হানিফ জানান, এবার লিচুর মুকুল গত বছরের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। লিচুতে এবার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হানিফ আরও বলেন, এখন থেকেই দেশের বিভন্ন এলাকার বড় বড় লিচু ব্যবসায়ীরা রংপুর ও দিনাজপুরের লিচু চাষী ও বাগান মালিকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করে রাখছেন। লিচু সুস্বাদু এবং মৌসুম ভিত্তিক ফল হওয়ায় তা বিদেশে রপ্তানী করার জন্য সরকারের সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে রংপুর বিভাগে লিচু সংরক্ষণের জন্য একটি কোল্ড ষ্টোরেজ নির্মানের দাবী জানান তিনি। দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, চলতি মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলায় ২ হাজার ২শ ৫১ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গাছে গাছে যে পরিমান লিচুর মুকুল দেখা যাচ্ছে তাতে কোন বিপর্যয় না হলে প্রায় ৫শ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা
সম্পাদনা/শাবানা মন্ডল /০২.২৫ঘ /২১ ফেব্রয়ারি