অনলাইন ডেস্ক:- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন,ক্ষতি রুখতে অবিলম্বে ইন্টারনেটে শিশু-কিশোরদের পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট দেখা যতটা সম্ভব কঠিন করা উচিত৷ বিষয়টি নিয়ে জার্মানিও বেশ উদ্বিগ্ন৷ গত সপ্তাহেই পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটগুলোর কারণে শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ডেভিড ক্যামেরন৷ এক ভাষণে ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের প্রতি এ বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘একজন রাজনীতিবিদ এবং বাবা হিসেবে আমি মনে করি এক্ষুনি একটা কিছু করা উচিত৷ শিশুদের আমরা কীভাবে বড় করে তুলতে পারি, তাদের নিষ্পাপ মনটাকে কীভাবে ধরে রাখতে পারি –এ নিয়ে আমাদের ভাবতেই হবে৷”নগ্নতা এবং যৌনতার আকর্ষণ নিয়ে সাইবার জগতে হাজির অসংখ্য পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট৷ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সেই সাইটগুলোতে প্রবেশাধিকারই থাকার কথা নয়৷ অথচ শৈশবেই তারা ঢুকে পড়ছে সেই জগতে৷ এর নানা রকমের খারাপ প্রভাব পড়ছে পরিবারে, সমাজে৷ সে কারণেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই দুশ্চিন্তা৷ ব্রিটেন পর্নোগ্রাফির সাইটগুলোর জন্য বিশেষ ‘ফিল্টার’ ব্যবহারের কথা ভাবছে৷ এর বাইরে আরো কঠোর কিছু ব্যবস্থার কথাও বিবেচনা করে দেখছে দেশটি৷জার্মানিতেও লেগেছে তার ঢেউ৷ কথা উঠেছে ইন্টারনেটে বিশেষ ‘ফিল্টার’ ব্যবহার করে এ ধরনের ওয়েবসাইট ভিজিট করার পথে অন্তরায়ের ব্যবস্থা করার৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা এমন ফিল্টার ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে অন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করাও কঠিন হয়ে যেতে পারে৷সব দিক বিবেচনা করে শিশুদের পর্নোগ্রাফি থেকে দূরে রাখার জন্য একটা উপায়কেই বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করা হচ্ছে৷ ব্রিটেনের মতো জার্মানিতেও অনেকে মনে করেন, মা-বাবা সজাগ থাকলে, পরিবার সতর্কভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সেটাই হবে সর্বোত্তম৷ জার্মানির ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল সোসাইটি বিষয়ক সংসদীয় কমিশনের সদস্য আলভার ফ্রয়ডে মনে করেন, ‘‘টিনএজ ছেলেমেয়েরা এমন বাধা পেলে অন্য উপায় বের করে ঠিকই খবর ডিডাব্লিউ এর, (পর্নোগ্রাফি সাইটে) ঢুকে পড়বে৷” তাই তাঁরও পরামর্শ, আইন বা নিয়মনীতি কঠোর করা হোক বা না হোক, প্রত্যেক শিশুর পরিবার আগে সজাগ, সচেতন হোক৷ তা;-১৫-০২-২০১৪।