স্পোর্টস ডেস্ক:- পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ২১ রানে হারিয়ে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে এর মধ্যদিয়ে দেশের মাটিতে ৫০তম ওয়ান ডে জয় পূর্ণ করল স্বাগতিকরা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ২৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। গতকাল টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দলপতি মাশরাফি। তবে, শুরুটা অবশ্য সুখকর হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ১৪ রান ও ব্যক্তিগত ৫ রানে এনামুলের আউট দিয়ে শুরু। এরপর মাত্র ৩২ রানে তামিম, ইমরুল আর সাকিবের মত নির্ভরযোগ্য পারফরমারদের করুণ বিদায়ে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। দলের বিপর্যয়ের এই সময়ে হাল ধরেন অনেক ম্যাচের পরীক্ষিত পারফরমার মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এই দুইজনের ১৩৪ রান দলকে কক্ষপথে ফেরায়। ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফ সেঞ্চুরী পূর্ণ করে ৭৮ বলে ৭৭ রানে মুশফিক আউট হলেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১১২ বলের মোকাবেলায় ৬টি চার মেরেছেন এ ডান হাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে মাত্র ২৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে লড়াকু স্কোর দাঁড় করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাশরাফি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রানের লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকে জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৮ রান। তবে, সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতে বিদায় নেয় দুই ওপেনার। ১১তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ওপেনার ভুসিমুজি সিবান্দাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। পরে ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জিম্বাবুয়ের অপর ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে করেন বোল্ড আউট। অবশ্য, চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৬ রান করে লড়াইয়ের আভাস দেন টেলর ও মায়ার। দুইজনই হাফ সেঞ্চুরী পূর্ণ করে জিম্বাবুয়েকে সিরিজে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখান। তবে, মায়ার ৫২ রানে এবং টেলর ৬৩ রানে আউট হলে আবারো পরাজয়ের শঙ্কা জেগে ওঠে সফরকারীদের। ৬৯ বলের মোকাবেলায় ৭টি চারের সাহায্যে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন টেলর। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরাও স্কোর দাঁড় করাতে ব্যর্থ হলে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জিম্বাবুয়েকে। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব জুবায়ের ও রুবেল ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।খবর:রেডিও তেহরান, খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ১১২ বলে ৬টি চার হাঁকিয়ে ৮২ রান করা মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ।