সাইফুল ইসলাম রাজাপুর ঝালকাঠি থেকেঃঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স ভবন নির্মানের প্রায় ৩ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিপূর্বে ফরিদপুরে বদলী হওয়া এ নির্বাহী প্রকৌশলী একাধিক টেন্ডার দূর্নীতি করেও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এবার মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স ভবনের কাজ বিড়াট অংকের বিনিময়ে একটি স্বার্থন্বেষী মহলকে পাইয়ে দিতে তিনি এ দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন। তাই এই কাজের দরপত্র রাজাপুর এলজিইডি অফিসে পাঠাননি। এতে রাজাপুরের ঠিকাদাররা কাজের দরপত্র কিনতে না পারায় টেন্ডারে অংশ নিতে পারেনি। ফলে সরকারকে বিড়াট অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাই ঠিকাদাররা পূনরায় এ টেন্ডার আহবানের দাবি জানিয়েছে। সংশিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের জিওবি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে এ কাজের টেন্ডার আহবান করার হয়। ঝালকাঠি এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভরত চন্দ্র মন্ডল এ টেন্ডার আহবান করেন। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি নং ০৭। বিজ্ঞপ্তিতে ঝালকাঠি, রাজাপুর ও বরিশাল এলজিইডি ভবন কার্যালয় থেকে এ কাজের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করার কথা উলেখ করা হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারী দরপত্র সংগ্রহ ও গ্রহনের শেষ তারিখ ছিল। এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু বলেন, রাজাপুরের খন্দকার ট্রেডার্সসহ একাধিক ঠিকাদার গত ৭ জানুয়ারি একাজের দরপত্র কিনতে গিয়ে পায়নি। ঐ দিন রাজাপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী লুৎফর রহমান অজ্ঞাত কারনে অফিসেও ছিলেননা। ঠিকাদাররা লিখিত ভাবে দরপত্র ক্রয়ের আবেদন করলে হিসাব রক্ষক আব্দুল বারেক হাওলাদার জানান, বিজ্ঞপ্তি নং ০৭ কাজের দরপত্র ঝালকাঠি কার্যালয় থেকে পাওয়া যায়নি। তাই বিক্রি করা সম্ভব নয়। তিনি দরপত্র ক্রয়ের আবেদনে একথা লিখেছেন। এদিকে ঝালকাঠি এলজিইডি কার্যালয়ে অরিত্র এন্টারপ্রাইজসহ সরকার দলীয় একাধিক ঠিকাদার এ কাজের টেন্ডার কিনতে গিয়েও পায়নি। নাম গোপন রাখার শর্তে তারা জানান, দরপত্র ক্রয় করতে গেলে নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারের ভাই তাদের ফিরিয়ে দেন। এমনকি দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন ৮ জানুয়ারি ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের দরপত্র বিক্রির দায়িত্বে থাকা ইউডি সেলস মো. ফিরোজ অফিসে না এসে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। এ ব্যাপারে রাজাপুর এলজিইডি প্রকৌশল কার্যালয়ে উক্ত টেন্ডারের দরপত্র না পাঠানোর কারন সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী লুৎফর রহমানের বক্তব্য জানা যায়নি। কারন তার মোবাইলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী ভরত চন্দ্র মন্ডল টেন্ডার বিক্রয়ে দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রাজাপুরে আমি দরপত্র পাঠিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী যদি তা বিক্রি না করেন বা কি কারনে বিক্রি করেননি সেটা তার ব্যাপার।