অনলাইন ডেস্ক:- অনেকেই ঝাল খাবার একেবারে খেতে পারেন না, আবার অনেকের ঝাল খাবার ছাড়া খাওয়াই চলে না। একেকজন মানুষের মুখের স্বাদ একেক ধরণের হয়ে থাকে এটিই স্বাভাবিক। যারা অনেক বেশি ঝাল খাবার খান তাদের ঝাল খাওয়া দেখে হয়তো যারা ঝাল খান না তারা বেশ অবাকই হন।
কিন্তু সত্যি বলতে কি যারা ঝাল বেশি খান তারাই কিন্তু বেশ লাভবান। ভাবছেন কী কারণে? তাহলে জেনে রাখুন, ঝাল খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। শুনতে অবাক লাগলেও যারা একটু বেশি ঝাল খাবার খান তারা কিছু কিছু সমস্যা থেকে আপানাআপনি রেহাই পেয়ে যান।
১) ওজন কমায় ঝাল খাবার-ওজন কমানোর জন্য যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন? তাহলে এক কাজ করুন খাদ্য তালিকায় রাখুন একটু বেশু ঝাল খাবার। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে মরিচ যা ঝাল খাবারের মূল উৎস তাতে রয়েছে ক্যাপসেইসিন নামক যৌগ যা দেহে থার্মোজেনিক ইফেক্টের জন্য দায়ী। এই থার্মোজেনিক ইফেক্ট দেহের ক্যালরি ক্ষয় করতে বিশেষভাবে সহায়ক।
২) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে-গবেষণায় দেখা যায় মরিচ ও ঝাল খাবারের যৌগ ক্যাপসেইসিনের রয়েছে দেহের ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করার জাদুকরী ক্ষমতা। এছাড়াও এর আরও রয়েছে সাধারণ সর্দি কাশি ও স্ট্রোক প্রতিরোধের ক্ষমতা।
৩) হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে-ঝাল খাবার কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা দূরে রাখতে সহায়তা করে থাকে। ঝাল খাবার দেহের খারাপ কলেস্টোরল দূর করতে সহায়তা করে, এতে করে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। এছাড়াও ক্যাপসেইসিনের রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহ বন্ধ করতেও সহায়তা করে।
৪) উচ্চ রক্তচাপ কমায়- গবেষণায় দেখা যায় ঝাল খাবার এবং ঝাল মরিচ রক্তের শিরা উপশিরা নমনীয় করতে সহায়তা করে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝামেলা কমিয়ে দেয়।
৫) রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখে-যারা একেবারেই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তারা ঝাল খাবার খেয়ে রাগ দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। গবেষণায় দেখা যায় ঝাল খাবার আমাদের দেহে সেরেটেনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যাতে করে ভালোলাগা উৎপন্ন হয় মস্তিষ্কে।খবর:ওয়েবসাইট, এতে করে রাগও দূর হয়ে যায় খানিক পরেই।