জাহিদুল ইসলাম মিলন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃশেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সি!হ ভাগ লোক কৃষি ফসল উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। ৩/৪ দফার পাহাড়ী ঢল ও বন্যায় অত্র জেলায় চলতি আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় । এতে নি¤œ এলাকা প্লাবিত হয়ে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা হতাশার মধ্যে পড়েছে। অবশিষ্ট উচু জমির আমন ফসলগুলো বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেলেও পোকার ব্যাপক আক্রমনের ফলে কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরেছে। পোকার আক্রমন থেকে ফসল রক্ষার জন্য বার বার কীটনাশক ব্যবহার করেও তেমন কোন সুফল পাচ্ছেনা। তাই দরিদ্র ও পান্তিক চাষীদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ কৃষকরা ধার-দেনা করে রোপা আমন রোপন করেও এবার তারা কাংখিত আমন ফসল ঘরে তুলতে পারবেনা। আমন ফসলের অর্ধেক বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতি করেছে আর বাকী ফসল পোকার কবলে। এছাড়াও অতি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে শব্জি চাষীদের সমস্ত শব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অত্র উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক এবং কৃষি ফসল উৎপাদন করে জীবণ-জীবিকা চালায়। কিন্ত এ বছর ৩/৪ বারের বন্যা ও পোকার আক্রমনে উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে না পারার আশংকায় হতাশার মধ্যে জীবণ যাপন করছে। ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। উক্ত আবাদী জমির প্রায় অর্ধেক বন্যায় কবলিত হয়ে ক্ষতি সাধিত হয়। অবশিষ্ট ফসল এখন পোকার আক্রমনে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে এবছর অত্র উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা বোধ করছেন স্থানীয় কৃষি বিভগ। লাভ জনক ফসল হিসেবে আখ্যায়িত রোপা আমন ধানের কাংখিত ফলন না দেখতে পেয়ে কৃষকের কযেন মাথায় হাত!