লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ- দাম্পত্য জীবনে টানা এক মাস যৌনতা থেকে দূরে থাকার বিষয়টি কেমন হতে পারে? অনেকের কাছে তা কোনো ব্যাপারই নয়। আবার অনেকে কাছে অসম্ভব বিষয়। আবার ইচ্ছে করলে পারা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে। তবে বিজ্ঞানীরা যা ভাবছেন, সে ফলাফল আগেই দেখিয়ে দিয়েছেন বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ ‘ব্রুকলিন নাইন-নাইন’ তারকা এবং সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় টেরি ক্রুস এবং তার স্ত্রী রেবেকা কিং। টেরি জানান, তিনি ও তার ২৫ বছর বয়সী স্ত্রী একটা পরীক্ষামূলক পরিকল্পনা করেন। তারা দুজন মিলে ‘যৌনতায় সংযম’ পালন করেন। টানা ৯০ দিন তারা কোনো সেক্স করেন না। এর ফলাফলে দুজনই দারুণ খুশি। কারণ এতে তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, টান ও আন্তরিকতা বেড়েছে। টানা ৯০ দিন পর টেরি-রেবেকা দম্পতি পরস্পরের প্রতি আরো বেশি যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। এবার দেখুন বিশেষজ্ঞরা এ প্রসঙ্গে কি বলেন। ‘জার্নাল অব কমিউনিকেশন’-এ বলা হয়, সহচার্যের অভাবে একের প্রতি অপরের হৃদয় আরো উষ্ণতাপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে দম্পতিরা একে অন্যের থেকে অনেক দূরে থাকেন তাদের মধ্যে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করে। দৈহিকভাবে এ দূরত্ব তাদের মানসিকভাবে আরো কাছে এনে দেয়। বহু দিন পর যৌনতায় উন্মত্ত হয়ে ওঠেন তারা। সিটি ইউনিভার্সিটি অব হং কং-এর মনোবিজ্ঞানী ক্রিস্টাল জিয়াং এসব কথা বলেন। টেরি এবং রেবেকা সংযম করেন ঠিকই। কিন্তু রোমান্সের আদান-প্রদান ঠিকই চলে। তারা আরো বেশি অন্তরঙ্গতা ও খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। কিন্তু তা কখনো সেক্স পর্যন্ত যাবে না। মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডরিক নিউম্যান জানান, এ দুজনের পরিকল্পনা নতুন কিছু নয়। দুজনের মধ্যে যৌনতার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পেতে এতে সংযমের প্রয়োজন রয়েছে। নৃবিজ্ঞানী হেলেন ফিশার জানান, যৌনতা এবং বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে তিন ধরনের বিষয় কাজ করে। একটি অংশে যৌনতা তৃপ্তিদায়ক হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় অংশ এই ভালোবাসা আদান-প্রদানকে রোমান্টিক করে তোলে। আর তৃতীয় অংশে সঙ্গী-সঙ্গিনীকে সারাজীবন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের নিরাপদ মানসিকতা গড়ে ওঠে। এই অনুভূতির সমন্বয়ের মাধ্যমেই দম্পতিরা বহুকাল একসঙ্গে থাকতে পারেন। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে যৌনতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব না দিলে তা অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সূত্র:এমএসএন