জি নিউজ অনলাইনঃ– ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন আসছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত, দেখব এই সরকারের কাছে কত গুলি আছে। ইতিহাস থেকে ভাসানী এবং জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাসানীর নাম বাদ দিয়ে এদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন আর শহীদ জিয়ার নাম বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা করা যাবে না।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মাওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সরকারের প্রতি তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আব্বাস বলেন, শেখ মুজিবের সঙ্গে ভাসানীর মতের অনেক পার্থক্য ছিল। তারপরও শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে বাঁচানোর জন্য ভাসানীই লড়াই করেছেন।
তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে অনেক রাজনীতিবিদের জন্ম হত না। তাহলে কেন জাতীয় পর্যায়ে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে না? তার প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের কী কোনো দায়বদ্ধতা নেই?
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন,অনেক রক্ত লেগে আছে আপনার হাতে। স্বৈরাচারী আচরণ যতটুকু করেছেন তাতে দেশের মানুষ হয়তো আপনাকে মাফ করে দেবে। এখন থেমে যান। স্বৈরাচারের খাতায় স্থায়ীভাবে নাম লেখাবেন না।
শেখ হাসিনার প্রতি মির্জা আব্বাসের এ পরামর্শ কতটা কাজে আসবে এ ব্যাপারে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী রেডিও তেহরানকে বলেন, হাসিনা এসব সৎ পরামর্শ শুনে সদাচরণ করবে তেমনটি আশা করা বাতুলতা মাত্র।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. ফয়জুল হাকিম বলেন, সরকারের প্রতি মির্জা আব্বাসের হুঁশিয়ারি অনেকে বাগাড়ম্বর হিসেবেই দেখবে। তবে এটাও সত্যি যে জনগণ বর্তমান স্বৈরাচার থেকে মুক্তি চায়। সে মুক্তি কোন পথে আসবে সেটাই খুঁজছে জনগণ।
মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিয়াউল হক মিলু।এ সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ খান প্রমুখ।